প্রতিনিধি ২০ মার্চ ২০২৩ , ১১:৫৫:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী ডেস্ক : শিগগিরই বাংলাদেশে উৎপাদিত ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা স্বর্ণের বার বিদেশে রপ্তানি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সাবেক প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান।
তিনি বলেন, বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর যেখানেই হাত দিয়েছেন, সেখানেই সাফল্য পেয়েছেন।
ওনার মতো প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য ব্যবসায়ী আমাদের প্রেসিডেন্ট, এটা আমাদের জন্য গৌরবের বিষয়। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের একই ছাতার তলায় আনতে কাজ করছেন। তার নেতৃত্বের সুফল এরই মধ্যে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা পেয়েছেন, ভবিষ্যতে আরও পাবেন।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে নরসিংদীর চিয়াংরাই চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বাজুস নরসিংদী জেলা শাখার মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নরসিংদী জেলা দেশের প্রসিদ্ধ শিল্পাঞ্চল। দেশের অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এ জেলার সন্তান। এ জেলা স্বর্ণশিল্প গড়ে তোলার জন্য উপযুক্ত জায়গা। আমরা স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা সমবায় সমিতির মাধ্যমে নিজেদের পুঁজিগুলো একত্র করে স্বর্ণশিল্প গড়ে তুলতে পারি। ভবিষ্যতে নরসিংদীর স্বর্ণ বিদেশে রপ্তানি হবে।
বাজুস প্রেসিডেন্টের স্বপ্ন, ২০৪১ সালে জাতীয় অর্থনীতিতে জুয়েলারি খাত অপরিহার্য অংশে পরিণত হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে জুয়েলারি খাত শিল্প হিসেবে বিবেচিত হবে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাও দেশের অন্য ব্যবসায়ীদের মতো সমানভাবে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন, যোগ করেন এনামুল হক খান।
বাজুস স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কল্যাণে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাজুস স্বর্ণ রপ্তানি ও আমদানি সহজ করার জন্য কাজ করছে। ব্যবসায়ীদের ভ্যাট ও আয়কর দেওয়া সহজ করতে ভূমিকা রাখছে বাজুস। তারা যাতে কোনো হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
বাজুস স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের সব স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাদের সবাইকে বাজুসের এক ছাতার নিচে আসতে হবে। যে কোনো সমস্যা সবাই মিলে সমাধান করতে হবে। সবাইকে বাজুসের দিক নির্দেশনা মেনে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। তাহলে সবাই লাভবান হবেন, কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল’ অ্যান্ড মেম্বারশিপের সহ-সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, স্বর্ণ একটি দেশের দ্বিতীয় কারেন্সি হিসেবে বিবেচিত হয়। আমাদের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে মেইড ইন বাংলাদেশ সিল সম্বলিত স্বর্ণের বার দেশে উৎপাদিত হবে, যা রপ্তানি করা হবে বিদেশে। আর জেলায় জেলায় স্বর্ণশিল্প গড়ে উঠবে, যা থেকে জেলার ও দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হবে।
বাজুস নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি মিঠু রঞ্জন ধরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল’ অ্যান্ড মেম্বারশিপের সহ-সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য ও সদস্য সচিব মো. রিপনুল হাসান, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক মনিটরিং পবিত্র চন্দ্র ঘোষ এবং বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ) তানভীর আহমেদ।
এসময় অনেকের মধ্যে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন নরসিংদী জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শ্যামল রায়, রতন কর্মকার, শংকর রায় ও শরিফ মিয়া, বাজুস সদর শাখার সভাপতি বিপ্লব দত্ত, সাধারণ সম্পাদক ননি গোপাল দাস, নরসিংদী স্বর্ণ পট্টির সভাপতি নারায়ণ দত্তসহ জেলার ও বিভিন্ন উপজেলার বাজুস নেতৃবৃন্দ ও স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
মতবিনিময় সভায় বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরকে নরসিংদী জেলা শাখার পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। এসময় অতিথিরা বাজুস নরসিংদী জেলা শাখার নতুন সদস্যদের সদস্যপত্র দেন। পরে অতিথিরা বাজুস নরসিংদী জেলার নেতৃবৃন্দকে সম্মাননা স্মারক দেন।