প্রতিনিধি ২৬ আগস্ট ২০২৪ , ৪:১১:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী : বন্যা পরিস্থিতিতে সরবরাহ সংকটে চট্টগ্রামে কাঁচা মরিচের দাম আকাশ ছোঁয়া। কোনও কোনও বাজারে মিলছেই না কাঁচামরিচ।
খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়। রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে নগরের চকবাজার, কাজীর দেউড়ি ও বহদ্দারহাট বাজারে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
এসব বাজারে কাঁচামরিচের দেখা মিললেও অন্যদিনের তুলনায় নগন্য। সরবরাহ কমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, বন্যার কারণে বাজারে কাচাঁমরিচ আসতে পারছে না। চট্টগ্রামের বাজারে অধিকাংশ সবজি আসে বগুড়া, ফরিদপুর, জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে। গত তিনদিন কাঁচামরিচসহ সবজি আসছে না। ফলে বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগে কয়েক গুণ দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন অসাধু বিক্রেতারা।
এদিকে দেশের ১১টি জেলা বর্তমানে বন্যাকবলিত। এতে সবজির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন অনেক ভোক্তা। তবে ব্যবসায়ীরা জানান, বন্যার কারণে সবজির মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা নেই। কারণ যেসব এলাকায় বন্যা হয়েছে, সেখান থেকে খুবই কম পরিমাণে সবজি ঢাকায় আসে।
নগরের বহদ্দারহাট, কাজীর দেউড়ি ও কর্ণফুলী কমপ্লেক্স বাজারে দোকানিরা ১০০ গ্রাম মরিচ বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
কাঁচা মরিচের পাশাপাশি বাজারে বেগুনের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা করে বেড়েছে। শুক্রবার প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ১১০-১৩০ টাকা দরে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি, মুরগির ডিম, মাছ ও অন্যান্য সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, রসুন ২০০-২২০ টাকা ও আদা ২৬০-২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরায় এক সপ্তাহ আগের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা ও আলুর দাম ৫ টাকা কমেছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০–২৬০ টাকা এবং প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৫০-১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
নগরের চকবাজারের দোকানি মফিজুর রহমান বলেন, বাজারে গত দু-তিন দিন কাঁচামরিচ না আসায় সংকট দেখা দিয়েছে। মহাসড়কে পানির কারণে দূরের জেলা থেকে সবজি ও মরিচ আসছে না। দুদিন আগেও কাঁচা মরিচ প্রতি কেজির দাম ১৭০-২৮০ টাকার মধ্যে ছিল। এখান বাজারে কাঁচা মরিচ তেমন একটা নেই, তাই দাম বেড়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, বাজারে আমাদের নজরদারি রয়েছে। কাঁচা মরিচ বাজারে সরবরাহ না থাকলে দাম বাড়তি নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। অভিযানে অসাধু বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।