প্রতিনিধি ২৪ আগস্ট ২০২৪ , ৪:৩১:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী ডেস্ক: দুই দেশের অভিন্ন নদীগুলো থেকে পানি ছাড়ার আগে আগাম সতর্কতা দেওয়ার জন্য ভারতে বার্তা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিরক্ষা বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনে বলা আছে, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যদি চুক্তি নাও থাকে তারপরও কেউ কারও ক্ষতি করতে পারবে না; এক দেশ অন্য দেশকে সহযোগিতা করবে। ’
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কিছু নদী নিয়ে চুক্তি আছে জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘উজানের দেশ থেকে পানি ছাড়ার আগে ভাটির দেশকে জানানোর কথা। তাহলে মানুষজনকে সড়িয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু এবার সেটি প্রতিপালিত হয়নি। এবারের অবস্থা থেকে শিক্ষা নিয়ে- যতগুলো অভিন্ন নদী আছে সেগুলো থেকে পানি ছাড়লে যেন বাংলাদেশকে আগাম সতর্কতা দেওয়া হয় সে ব্যাপারে ভারতের কাছে বাংলাদেশের বার্তা পৌঁছানো হবে ‘
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনের বৈঠকেও এ বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে’ কথাটি তিনি যোগ করেন।
ফেনির বন্যা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্যা মোকাবিলায় ড্রেজিং অথবা পলি ব্যবস্থাপনার অন্যান্য মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় নদীগুলোকে খননের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বন্যা কমে গেলেও বাধাহীনভাবে পানি নেমে যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় থাকবে। কারণ, অবৈধ দখলের কারণে নদীপথ সংকুচিত হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে উজান থেকে নেমে আসা পলি ব্যবস্থাপনায়ও প্রাধান্য দেওয়া দরকার। ’
‘নদীতে অবৈধ দখলের ব্যাপারে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না? প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘অবৈধ দখলদাররা নদীতে বড় আকারের স্থাপনা করেছে। কর্মপরিকল্পনার ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যহীনভাবে অভিযান চালানো হবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘হবিগঞ্জকে বাঁচানোর জন্য খোয়াই নদীকে রক্ষা করা ছাড়া কোন পথ নেই। অল্প টাকা ব্যয় করে যেভাবে নদী বাঁচানো যায় সরকার সেভাবেই কাজ করবে। ’
এর আগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ও রাঙ্গেরগাঁও এলাকায় খোয়াই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন।
সেখানে হবিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক প্রভাংশু সোম মহান ও হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।