প্রতিনিধি ১৫ নভেম্বর ২০২২ , ১০:১০:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বিজ্ঞ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার ১৪ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের নাজির মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সাদেকের বিল এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে ১২ শতক জমি বুঝে পেয়ে বিজ্ঞ আদালত ও জেলা প্রশাসনের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জমির মালিক পুষ্পা তঞ্চংগ্যা।
পুষ্পা তঞ্চংগ্যা জানান, তার দেবর অজিত তঞ্চংগ্যার থাকার জায়গা না থাকায় তাকে বসবাস করার সুযোগ দেন। একপর্যায়ে অবস্থানকৃত জায়গাটি তার দাবী করে জমির মালিকের অনুপস্থিতিতে সেখানে জোরপূর্বক বসতঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করে। এতে বাধা প্রদান করলে মালিক পুষ্পা তঞ্চংগ্যাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে জোরপূর্বক সেখানে একতলা বিশিষ্ট একটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে ফেলে অজিত তঞ্চংগ্যা। পরে অবৈধ দখলকৃত জায়গা থেকে সরে যেতে বললে উল্টো জমি ছাড়তে অপরাগতা দেখিয়ে দুর্ব্যহার ও হাকাবকা শুরু করেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন পুষ্পা তঞ্চংগ্যা। এতে জমির মালিক আদালতে শরণাপন্ন হয়ে উচ্ছেদ মামলা করলে সেই মামলার বিরুদ্ধে আপিল করেন অজিত তঞ্চংগ্যা। চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালত সেটি খারিজ করে দেয়।
পরবর্তীতে অজিত তঞ্চংগ্যা জমি ছেড়ে দিতে অপরাগতা জানালে পুষ্পা তঞ্চংগ্যা নিরুপায় হয়ে বিজ্ঞ আদালতে উচ্ছেদ মামলা (নং ০২/২২ ) দায়ের করেন। রাঙ্গুনিয়া সহকারী জজ শ্রী জ্ঞান তঞ্চজ্ঞা এ উচ্ছেদ মামলায় পুষ্পা তঞ্চংগ্যার পক্ষে রায় দেন। রায়ে অবৈধ দখলদার অজিত তঞ্চংগ্যাকে উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়া হয়।
বিজ্ঞ আদালতের এ আদেশের প্রেক্ষিতে সোমবার জেলা জজ আদালতের নাজির মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে অবশেষে এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জমির মালিক পুষ্পা তঞ্চংগ্যা।
অভিযানে আরো অংশ নেন, জারি কারক শাহ আলম, সহ-সহকারী ইলিয়াস আহমদ, রাঙ্গুনিয়া থানার এসআই আবদুল করিমসহ জেলা পুলিশের প্রায় ২৪ জন সদস্য। উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধদখলদার অজিত তঞ্চংগ্যা গং এর বসতঘর সহ অন্যান্য স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়। পরে জমি দখলমুক্ত করে প্রকৃত মালিক পুষ্পা তঞ্চংগ্যাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযান চলাকালে এলাকার শত শত উৎসুক মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। এ অভিযান ভূমিগ্রাসী চক্র ও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে একটি শতর্কবার্তা বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। দখলদাররা প্রভাবশালী হলেও আইনের মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়ার অন্যন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এ অভিযান। এ জন্য এলাকাবাসীও বিজ্ঞ আদালত, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।