প্রতিনিধি ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৯:২৪:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী ডেস্ক: দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মাঝারি থেকে তীব্র ধরনের তাপপ্রবাহ কেটে গেছে। বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, উড়িষ্যা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত।
এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
শুক্রবারে পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল, ঢাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
শনিবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, ফরিদপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে এক নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুরে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে নেত্রকোনায় ৭৭ মিলিমিটার। ঢাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ১২ মিলিমিটার ও ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।