প্রতিনিধি ১৭ আগস্ট ২০২৩ , ১০:৩০:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী: জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, শুধু ট্রেনিং সনদ দিয়ে কাজ হবে না, বৈদেশিক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে চাহিদাভিত্তিক কার্যকরী প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রচার ও ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট জেলায় পরিণত করতে সকল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট প্রধানদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের ৪র্থ মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রয়োজনে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশে যেসব যন্ত্রপাতি নিয়মিত ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলোর মডেল এনে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশ হিসাবে চট্টগ্রাম জেলাকে স্মার্ট জেলায় পরিণত করতে সকল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট প্রধানদের নিয়ে “স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনলাইনে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।
চট্টগ্রাম জেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণের চাহিদা কতটুকু এবং সাপ্লাই কতটুকু তা যাচাই করে ডাটাবেইজ তৈরি করার জন্য জেলা প্রশাসক চট্টগ্রামের সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানকে উদ্দেশ্য করেন বলেন, চট্টগ্রামে কতগুলো প্রতিষ্ঠান কারিগরি ট্রেনিং প্রদান করে, বছরের কোন কোন সময় প্রতিষ্ঠানগুলো কি কি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে, তাদের ট্রেনিংয়ের চাহিদা কেমন, কোন বিষয়ে সফলতা কারো আছে এ কি-না এ বিষয়ে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেন। এই ডাটাবেইজ তৈরি করা সম্ভব হলে কোনো একটা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সহজেই যে কেউ ট্রেনিং বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে প্রশিক্ষণ গ্রহন করতে পারবে।
সভায় কোডার্স ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. শামসুল হক বলেন, আমি অনেক দেশে ভ্রমণ করেছি। বৈদেশিক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আপডেটেড যন্ত্রপাতি দিয়ে হান্ডস অন ট্রেনিং দেওয়া প্রয়োজন।
জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, ভাষা শেখা, মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ সার্ভিসিংয়ের বিষয়ে ভিডিও কনটেন্ট রেডি করে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে ঝড়ে পড়া শিশুরা কর্মক্ষম হয়ে স্বাবলম্বী হতে পারবে।
সপ্তাহে অন্তত একদিন ভ্রাম্যমাণ যানবাহনের মাধ্যমে উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করা সম্ভব হলে তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে প্রস্তাব দেন বাংলাদেশ কোরিয়া কারিগরি ট্রেনিং সেন্টারের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষসহ চট্টগ্রাম জেলার সকল সরকারি ও বেসরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।