• মহানগর

    পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার পরিচয়ে অন্যর সম্পত্তি দখলে ছগির ভূঞা

      প্রতিনিধি ১২ জানুয়ারি ২০২৫ , ১০:৫৬:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরীর হালিশহর থানা এলাকায় পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার পরিচয়ে অন্যর সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল নিয়েছেন মর্মে মোঃ ছগির আহমদ ভূঞা নামে এক বি- বাড়িয়ার বাসিন্দা (ভাড়াটিয়া) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ১২ জানুয়ারি, রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ ইকবাল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা।

    লিখিত বক্তব্যে ইকবাল হোসেন আরো অভিযোগ করেন যে, হালিশহর থানার মৌজায় তফশিল ভুক্ত জায়গায় জৈনক উক্ত ছগির আহমদ একজন ভাড়াটে দোকানদার ছিল।
    বাদী ইকবালের ভাইয়ের সাথে চুক্তিবদ্ধ ভাড়াটে দোকানদার হিসেবে ২০১২ সাল থেকে ছগির ভূঞা নামে উক্ত দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে অবস্থান করে।

    এরপরে তফশিল ভুক্ত জায়গা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আপোষ নামা অংশমূলে বিগত ২৪/০৮/২০২৪ ইং সালে দোকান ঘর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৫/০৮/২৪ ইং তারিখে দখল বুঝিয়ে দেয়।

    এই থেকে ছগির ভূঞা তার ভাই পরিচয় (ডেপুটি পুলিশ কর্মকর্তা) হোসাইন মোঃ কবির ভূঁইয়া ‌কে অনৈতিক ও‌ ক্ষমতার দাপটে একের পর এক হয়রানি মিথ্যা মামলা, জিডি – অভিযোগ দিয়ে চরম ভাবে হয়রানি করছে।

    উল্লেখ্য যে,ছগির ভূঞার নামে বিগত বছরে চোরাই গ্যাস সংযোগে মামলা ও জুয়ার আসর এবং মাদক বিক্রেতা হিসেবে বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের, অভিযোগ রয়েছে বলে জানান বাদী ইকবালের স্বীকার উক্তি।

    তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, শুধু মাত্র বড় ভাই পুলিশ প্রশাসনের লোক হওয়ায় ভাড়াটে দোকানদার ছগির ভূঞা নানা কৌশলে উক্ত সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

    অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ০২ জানুয়ারি মাসে সিএমপি পুলিশ কমিশনার ও ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে ভুক্তভোগী মোঃ ইকবাল হোসেনের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।তারা আরো জানায়,ছগির ভূঞা কে‌ দোকান ঘর সংলগ্ন জায়গা বুঝিয়ে না দিলে গ্রেপ্তারের হুমকি সহ বাড়িতে এসে দরজা জানালা ভেঙ্গে নির্যাতন করে তুলে নিয়ে যাওয়ার কঠোর হুঁশিয়ারি দেন পোষাক পরিধান করা পুলিশ টিম।‌

    এই বিষয়ে অবগত করে বিঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ০৫/০১/২০২৫ ইং তারিখে সি আর মামলা দায়ের করেন। এছাড়া এর পূর্বে উক্ত বিষয়ে হালিশহর ও পাহাড়তলী থানায় লিখিত অভিযোগ/ ‌জিডি দায়ের করা হলেও পুলিশ কর্মকর্তা হোসাইন মোঃ কবির ভূঁইয়ার ছাপে তা সুরাহা হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বড়বোন নূর নাহার বেগম, সৈয়দআরা বেগম, খুরশিদা বেগম এবং জাহেদা বেগম।
    তারা সবাই উক্ত সম্পত্তি ফিরে পেতেও পরিবারের আশু নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উচ্চ প্রশাসনের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন।

    0Shares

    আরও খবর 25

    Sponsered content