• মহানগর

    ‘ব্যক্তিকেন্দ্রীক বিরোধকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বলে চালানো হচ্ছে’

      প্রতিনিধি ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১২:৩৪:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী: ‘দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের যে ষড়যন্ত্র চলছে তা কখনো সফল হবে না। ব্যক্তিকেন্দ্রীক বিরোধকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বলে চালানো হচ্ছে।

    সুতরাং সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে কখনও পা দেওয়া যাবে না। এ ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

    রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে পিটিআই ভবনে সচেতন নাগরিক সমাজ আয়োজিত এক সম্প্রতি সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।

    সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক রাসেল আহমদ বলেন, আমরা বাংলাদেশকে কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িক হতে দিবো না। চট্টগ্রাম থেকে যে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া হয়েছে তা আমরা রুখে দিয়েছি। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে কখন সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে পা দেওয়া যাবে না। এদেশ একক কোনো ধর্মের দেশ নয়। এ দেশ সবার। ৫ আগস্টের পর ঐক্যবদ্ধ হয়ে মন্দির মসজিদ পাহারা দিয়েছে। ব্যক্তিকেন্দ্রীক বিরোধকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বলে চালাচ্ছে শেখ হাসিনা। আমরা একসঙ্গে বসে বাংলাদেশের জয়গান করছি, এটি সম্প্রতির নিদর্শন।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয় খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, এই বাংলাদেশ ২০ কোটি মানুষের দেশ। এই দেশকে যারা ধারণ করে, তারা সম্প্রদায়িক হতে পারে না। সম্প্রীতি আছে বলেই একসঙ্গে হয়েছিলাম ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে। ধর্মকে ব্যবহার করে তারা সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। আমরা যখন ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছি সেখানে কোনো ধর্ম ছিল না, দল ছিল না। আমরা সেই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি যেখানে কোনো বিরোধ থাকবে না।

    জামায়াতে ইসলাম চট্টগ্রাম মহানগরের আমির মাওলানা শাহজাহান চৌধুরী বলেন, এ দেশের মতো সম্প্রীতির দেশ বিশ্বের আর কোথাও নেই। ভারতকে বলছি, আপনারা চেয়ে়ছিলেন সম্প্রীতি নষ্ট করে ফ্যাসিস্টের পুনর্বাসন করবেন। আমাদের দেশ নিয়ে আপনাদের ভাবতে হবে না। আমাদের দেশের সম্প্রীতি আমরা বজায় রাখতে পারবো। আপনারা যার যার ধর্ম সে সে পালন করেন। প্রয়োজনে আমরা আপনাদের সহযোগিতা করবো।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এটা আমাদের দেশ, এ দেশে আমাদের থাকতে হবে, মরতে হবে। কাজেই এ দেশকে ভালোবাসতে হবে। যেভাবে ভালোবেসেছিলেন ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধারা, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা যারা প্রাণ দিয়েছেন। আমি সব সময় ক্লিন সিটির কথা বলছি। এটি শুধু নালা-নর্দমা পরিষ্কার করা নয়, এর অর্থ আমাদের মনে যে ময়লা রয়েছে সেটিও পরিষ্কার করা। আমরা চাই আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকুক।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে সম্প্রীতি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দীন মুনিরী, সহকারী মহাসচিব জাফর আহমেদ, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, জেলা পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান।

    0Shares

    আরও খবর 25

    Sponsered content