প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১০:০৫:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ শহিদুল ইসলাম শহীদঃ জেলার বিভিন্ন দুর্গম পাড়া গ্রামে গুলোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা ও কেক প্রদান করে আসছে।তার অংশ হিসেবে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড় দিন উপলক্ষেরুমা ও থানচি উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কেক এবং মানবিক সহায়তা বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বুধবার ২৫ ডিসেম্বর’২৪ সকাল ১০টা হতে ১৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দায়িত্বপূর্ণ বাকলাই পাড়া সাবজোনের প্রাতাপাড়া, বাশিরামপাড়া,সিমত্লামপি পাড়া, শেরকরপাড়া, ও জারুলছরিপাড়ায় এ উৎসব উপলক্ষে ক্রিসমাস কেক, গীর্জার জন্য সোলার সিস্টেম, ৩২” টিভি, সাউন্ড স্পিকার ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপকরণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
দি ম্যাজেস্টিক টাইগার্স এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরদার জুলকার নাইন, বিএসপি, পিএসসি নিজে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন পাড়াতে উক্ত উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক ও সেনা সাবজোন কমান্ডার ছাড়াও সামরিক বেসামরিক বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বড়দিনের কেক ও অনুদান পেয়ে এলাকার কমিউনিটি চার্চের ধর্মগুরু, পাড়ার কারবারিগণ এবং পাড়াবাসী সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং বলেন,এটি আমাদের ধর্মীয় বড় উৎসব। সেনাবাহিনী আমাদের যে সেবা ও সহযোগীতা করছে তা দিয়ে আমরা পাড়াবাসী পরিবার-পরিজন ও আত্নীয় স্বজন নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ পালন করবো। আমরা সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জানা যায় যে যে, কে এন এফ কর্তৃক নানাবিধ সৃষ্ট সমস্যার কারণে গত ২০২২ সালে প্রাতাপাড়ার লোকজন গ্রাম ছেড়ে চলে যায় পরবর্তীতে ২০২৩ সালে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় তারা পুনরায় পুনর্বাসিত হয়।
বড়দিনের এই উৎসবে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা পাওয়ার পর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে পাড়ার ভারপ্রাপ্ত কারবারি ও ধর্মযাজক পাকত্লিরং বম বলেন,বম সম্প্রদায় কখনো কেনএফ এর সহযোগী ছিল না,তারা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চায়, সেনাবাহিনী সর্বদাই তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহযোগিতা করে আসছে। যার কারণে কেএনএফ বর্তমানে নানা ধরনের অপপ্রচার এবং মিথ্যা খবর প্রকাশ করছে। তারা কখনোই কেএনএফ এর কার্যক্রমকে সমর্থন করে না, তাদের আস্থা সেনাবাহিনীর উপর আছে। আজকে আমাদের প্রাতা পারা গ্রামের গরীব-দুস্হ সবাই আমরা বড়দিন উপলক্ষে যে উৎসব করতে পারছি এর পেছনে সেনাবাহিনীর অনেক বড় অবদান রয়েছে।
বড়দিনের উৎসব আয়োজনের ব্যাপারে অধিনায়ক ১৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট বলেন, সেনাবাহিনী সব সময় সাধারণ জনগনের পাশে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কে এন এফ এর সৃষ্ট অপপ্রচার কখনোই সফল হবে না এবং তাদের সৃষ্ট অস্থিরতা অচিরেই দূর হবে শান্তি সম্প্রীতির এই বান্দরবানে। পাহাড়ে বসবাসরত সব জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সুরক্ষার পাশাপাশি সবার মাঝে সম্প্রীতি বজায় রাখতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর।