প্রতিনিধি ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১১:৪৭:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
সিটি রিপোর্টার: নগরের ইপিজেড থানাধীন নেভী ঈসা খাঁন গেটের বিপরীতে দীর্ঘদিনের পুরাতন একটি রি-রুলিং মিলের স্থাপনায় টং দোকান,ব্যাচেলর ঘর,দোকান ঘর ও গাড়ির কাউন্টার সহ অন্যান্য পরিত্যক্ত মালামাল জোর পূর্বক দখল ও ইনচার্জ পাওয়ার কেড়ে নিতে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ শাহীন (শাহজাহান সিকদার) কে বেদম প্রহার করে, আঘাত দিয়ে হত্য্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে,গত ৭ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আহত শাহজাহান সিকদারের নিকট প্রতিবেশী দল সমর্থিত হাইব্রিড নেতা ও অনৈতিক কাজের লিডার আঃ রহমানের নেতৃত্বে ৭/৮ জনের গ্রুপ হত্যা চেষ্টায় হামলা চালিয়েছে।
দিন মজুর ,রি রুলিং মিলের মালিক কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত ইনচার্জের দায়িত্ব জোর পূর্বক ভাগিয়ে নিতে এবং দোকান ঘরে অনৈতিক জুয়া-মাদকের আড্ডা এবং দেহ ব্যবসা বসাতে আঃ রহমান নামে ঐ যুবকের দল এই হামলা, ভাঙচুর, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে বলে প্রতিবেশী যুবক মোঃ রায়হান ও রাজু জানিয়েছেন। অভিযুক্ত আঃ রহমান দক্ষিণ হালিশহরস্থ ঈসা খাঁন গেটের হোসেন আলী সারাং বাড়ীর মৃত্ মোঃ আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
অপর স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ ইকবাল বলেন, আঃ রহমান দীর্ঘ ১২/১৪ বছর আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থক হিসেবে সড়কে ছবি যুক্ত ব্যানার -ফেস্টুন ভাঙিয়ে মিছিল মিটিং করেছেন,এখন আলাদা গ্রুপ করে বিএনপির নেতা সেজে হাসপাতাল গেট থেকে বন্দরটিলা বাজার পর্যন্ত চাঁদাবাজি, জুয়া ও মদের আসর পরিচালনা করছেন। এই অনৈতিক কাজে বাঁধা দেওয়ায় রি-রুলিং মিলের ইনচার্জ মোঃ শাহীন সিকদার ও তাকে উদ্ধারে আসা বধির(শ্রবণ প্রতিবন্ধী) যুবককে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে তারা সবাই চিহ্নিত যুবক।
আহত শাহীন সিকদারের ছেলে মুন্না বলেন,বেদম মারধরের আঘাতে আহত পিতা কে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন বলেও জানান। ভিকটিম শাহীন সিকদার নিশ্চিত করে বলেন,৭/৮ জনের নাম উল্লে্খ্য করে ৪/৫ জন কে অঞ্জাতনামা দিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।পরে মামলাও হতে পারে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে ইপিজেড থানা পুলিশের এসআই কামালের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে মামলার পক্রিয়া চলছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা করবে জানায় পুলিশ।
ইতিপূর্বেও রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ, জিডি এবং মামলা রয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা সংবাদ মাধ্যম কে জানিয়েছেন।