নুরুল আবছার নূরী : ফটিকছড়ি উপজেলা নাজিরহাট পৌরসভার সদর সেন্টাল পার্ক হসপিটালে প্রসূতির ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠা মুন্নি আকতার (৩০) নামের সে প্রসূতি ।

১ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত মুন্নি আকতার চাচাতো ভাই মোঃ সাব্বির। জানা যায় প্রসব বেদনা উঠলে গত ২৪আগস্ট রবিবার রাতে নাজিরহাট পৌরসভার সদর সেন্টাল পার্ক হসপিটাল নিয়ে আসা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দেন। গত বুধবার গভীর রাতে অস্রপ্রাচারের সময়ে তাকে গুরুতর অসুস্থ দাবি করে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন সেই খানে ২দিন চিকিৎসাধিন থাকার পর মুন্নি আকতার শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটলে তার পরিবারের লোকজন সেন্ট্রাল পার্ক হসপিটাল বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা হসপিটালে হামলা চালায়। এতে কাচভাঙ্গচুর দরজা জানালা আসবাবপত্র ভাংচুর করে করা হয়েছে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনা হয়।

মুন্নি আকতার মামা মোঃ হাসেম অভিযোগ করেন ভাগিনীকে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ ভুল চিকিৎসা করা হয়েছে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধ্যমে বিষয়টির সঠিক ভাবে বিচার চাই।

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মুহাম্মদ নুরুল হুদা ও পুলিশ ঘটনাস্হলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এনেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও সহকারী কমিশনার ভূমি মুহাম্মদ মিছবাহ উদ্দিন ও ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মুহাম্মদ নুরুল হুদা ঘটনাস্থলে এসে ঘটনা সুষ্ঠ তদন্ত করে দায়ী বিরুদ্ধে ব্যবস্হার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসে।পরবর্তী ওই রোগীকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেই খানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যায়।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত করতে ৪সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি ঘটন করে দিয়েছেন, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন মুহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী ৪সদস্য কমিটির আহবায়ক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ আরেফিন আজিম, সদস্য সচিব ডাঃ মনিষ সাহা রায়, সদস্য ডাঃ শামিমা আকতার সদস্য ডাঃ রানা দে।গঠিত তদন্ত কমিটি ৭দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেন দিতে বলা হয়েছে।

নিহত গৃহবধূ মুন্নি আকতারের মামা মোঃ হাসেম বলেন সেন্ট্রাল পার্কে আমার ভাগিনির ভুল চিকিৎসা অস্ত্রপাচার করা হয়েছে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী নিকট ঘটনার সঠিক বিচার চাই যাতে অন্য কেউ এই পরিস্থিতির স্বীকার না হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ আরেফিন আজিম বলেন তদন্ত কমিটি সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক ৭দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। তবে হাসপাতালের সকল কর্মচারী পলাতক। জানাজার শেষে আমরা নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন ঘটানার সত্যতা উদঘাটনের জন্য ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। অবশ্যই সুষ্ঠ তদন্তের মধ্যে দিয়ে আসল ঘটনা উম্মচন করা হবে। জানা যায় নিহত মুন্নি আকতার আরও ২জন কন্যা সন্তান রয়েছে। অস্ত্রপাচারের মধ্যে দিয়ে একটি ছেলে সন্তান হয়েছে। তিনি মাস পূর্বে অসুস্থ অবস্থায় মুন্নি আকতার স্বামী মারা যায়। নিহত মুন্নি আকতার ফটিকছড়ি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের আলকি বাপের বাড়ির মৃত ফোরকানের স্ত্রী।