• জাতীয়

    ‘নারীর নিরাপত্তাকে রাষ্ট্র কখনো অগ্রাধিকার দেয়নি’

      প্রতিনিধি ১৭ আগস্ট ২০২৪ , ৪:৪৬:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী ডেস্ক: ‘নারীর নিরাপত্তাকে রাষ্ট্র কখনো অগ্রাধিকার দেয়নি। ধর্ষণের ঘটনা, ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হয় ঠিকই, কিন্তু ধর্ষকদের শাস্তি জনসম্মুখে প্রচার করা হয় না।

    বরং ক্ষমতাসীনরা নানা সময় ধর্ষকদের আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করেছে।




    শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত সমাবেশে একদল নারী শিক্ষার্থী এসব কথা বলেন।

    সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মৌমিতা নামে এক ইন্টার্নি ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ‘আওয়াজ তোলো নারী’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করেন। এতে কলকাতার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন এ শিক্ষার্থীরা।




    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আনিয়া ফাহমি বলেন, আমাদের দেশের আইন ফোর্সের স্বাধীনভাবে বিচার করার মতো স্বাধীনতা নেই। ধর্ষণের ঘটনা, ভিডিও এগুলো ফেসবুকে প্রচার হয় ঠিকই, কিন্তু ধর্ষকের শাস্তি জনসম্মুখে দেওয়া হয় না। আমাদেরকে ধর্ষকদের ব্যাপারে কিছুই জানানো হয় না। বরং গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতাসীনরা ধর্ষকদের আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

    তিনি বলেন, টাঙ্গাইলে গোলাম কিবরিয়া নামে একজনকে দল থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে কেবল। এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। ৯ জনই ছাত্রলীগ কর্মী। তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে হেনস্তা করা হচ্ছে আমরা ফেসবুকে দেখলাম। ভিডিও প্রকাশ পাওয়ার আগে পুলিশ মামলাই নেয়নি।




    ‘ধর্ষণের আজকের যে বয়ান তা পুরুষ বনাম নারী না। বরং রাষ্ট্র বনাম নারী বয়ান। নারীর নিরাপত্তাকে তারা কখনো অগ্রাধিকার দেয়নি। দিলে যেকোনো ধর্ষণ মামলার দায়েরের পর তাদের তৎপরতা দেখা যেত। ’

    বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, যে মেয়েরা এত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে স্বৈরাচার উৎখাত করেছে, তারা কী সামান্য নিরাপত্তা পেতে পারে না। আমরা এ সরকারের কাছে সে নিরাপত্তা চাই। আইন নিয়ম-নীতি আগেও শক্ত ছিল। তবে এর ফাঁকফোকর দিয়ে অনেকেই বেরিয়ে যাচ্ছে। আমাদের আইনের যথাযথ প্রয়োগ চাই।




    আরও খবর 17

    Sponsered content