• মহানগর

    আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম

      প্রতিনিধি ১৫ জুলাই ২০২৪ , ১০:৩৯:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী: নগরে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

    এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও (চবি) আন্দোলকারীদের ওপর দুই দফায় হামলা চালিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।




    সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৫টায় নগরের ষোলশহর এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুরো সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ষোলশহর রেল স্টেশন এলাকায় ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুই নম্বর গেইট ও মুরাদপুর এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। সংঘর্ষের সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।

    এদিকে সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার ও কাটাপাহাড় সড়কে আন্দোলনকারীদের ওপর দুই দফা হামলা চালিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।




    এর আগে দুপুর আড়াইটার শহরগামী শাটল ট্রেন থেকে কোটা আন্দোলন চবির সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিকে তুলে নিয়ে যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে জোরপূর্বক ছাত্রলীগের মিছিলে তাকে যুক্ত করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় রাফির ছাত্রত্ব বাতিলের জন্য প্রক্টরের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায় ছাত্রলীগের অনুসারীদের।

    ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দাবি, তালাত মাহমুদ রাফি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। এরপরও যেহেতু সে কোটা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে, তাই তার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অধিকার নেই।




    কোটা আন্দোলন চবির সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, আমাকে জোর করে ছাত্রলীগের মিছিলে যুক্ত করে নিয়ে আসা হয়েছে। আমার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হয়েছে, আপনারা সবাই দেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আজ বিকাল সাড়ে ৩টায় আমাদের আন্দোলনকে বন্ধ করতে ট্রেন আটকে দেওয়া হয়েছে।

    এর আগে রোববার (১৪ জুলাই) রাত ১১টায় কোটা আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে তাদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।




    চবি প্রক্টর ড. অহিদুল আলম বলেন, আন্দোলনকারীরা যদি আদালতের রায় না মানে, তাহলে তাদের বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমরা আদালতে বাইরে যেতে পারবো না। আর আহত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।

    আরও খবর 25

    Sponsered content