প্রতিনিধি ৩ জুলাই ২০২৪ , ৯:৩৫:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
কুতুবদিয়া প্রতিনিধি: কুতুবদিয়ায় আইনজীবি সহকারিকে ফিল্মি স্টাইলে গাড়ী থেকে তুলে নিয়ে পরিষদের হলরুমে বেধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান হালিম সিকদারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে কুতুবদিয়া আতালতের আইনজীবি সহকারি মোহাম্মদ হোছাইন মারধরের শিকার হন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বলে থানা সূত্র জানায়।
জানা যায়, উত্তর ধুরুং আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার শফিউল আলম তাদের পারিবারিক জমির বিরোধ নিয়ে তার চাচাতো ভাই কুতুবদিয়া জুডিশিয়াল আদালতের আইনজীবি সহকারি ও দৈনিক বিকাল বার্তার কুতুবদিয়া প্রতিনিধি মো: হোছাইনসহ তাদের ৫ ভাইয়ের বিরুদ্ধে পরিষদে অভিযোগ দেন।
পরিষদ থেকে বেশ কয়েকটা নোটিশ দেয়া হলেও বিবাদীরা কেউ পরিষদে হাজির হয়নাই। ফলে ইউপি চেয়ারম্যান একতরফা ভাবে বাদীর পক্ষে একটা মতামত প্রতিবেদন দেন। এটি নিয়ে বাদী পক্ষ গতমাসের ৫ তারিখে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিলে নির্বাহি কর্মকর্তা মো: মঈনুল হোসেন চৌধুরী বিষয়টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেন।
আইনজীবি সহকারি মো: হোছাইন বলেন, তিনি প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে টসটম যোগে আদালতে যাচ্ছিলেন। উত্তর ধুরুং পরিষদের সামনে এলে আজম রোডে ৭/৮ জন গ্রাম পুলিশ গাড়ি থামিয়ে ফিল্মি স্টাইলে তাকে তুলে নিয়ে হলরুমে বেধে আটকে রাখে। এসময় চেয়ারম্যানের সাথে দস্তাধস্তি হয়। তাকে মারধরও করাহয় ।
পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ৯৯৯ এ কল করা হয়। একই সাথে আইনীবি এসোসিয়েশনের সভাপতি এডভোকেট ফিরোজ আহমদ থানায় ফোন করলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
উত্তর ধুরুং পরিষদ লাগোয়া বাসিন্দা কুতুবদিয়া আদালতের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ খালেদ জানান, সকালে জানালা দিয়ে তাকে ডাকেন আইনজীবি সহকারি। কিন্তু চেয়ারম্যান হলরুমে প্রবেশে বাধা দেন । জানালা দিয়ে কথা বলতে বলেন। এক পর্যায়ে রুমে ঢোকার অনুমতি দিলেও তার মোবাইল রেখে যেতে বাধ্য করেন চেয়ারম্যান।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম সিকদার বলেন, জমির বিরোধে অভিযোগে তাদেরকে কয়েকটা নোটিস দিলেও আইনকে অবজ্ঞা করে নানা ধরনের গালিগালাজ করেছেন আইনজীবি সহকারি। বেধে রাখা হয়নি। হলরুমে আটকে রাখা হয় তাকে। তার ওপরও চড়াও হন বলে জানান তিনি।
থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম কবীর বলেন, উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদে মো: হোছাইন নামে আইনজীবি সহকারিকে আটকে রাখার খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে একই সাথে চেয়ারম্যানকে ও থানায় এনে উভয়কে চিকিৎসার জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।