• বিনোদন

    চিত্রনায়িকা নিপুণের টাকার উৎস্য কী, জানা গেল

      প্রতিনিধি ২৪ মে ২০২৪ , ১০:১৮:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    বিনোদন ডেস্ক: ভালো গল্প পেলেই চলচ্চিত্রে কাজ করেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। সম্প্রতি এমনই একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। শফিকুল আলম পরিচালিত সিনেমার নাম ‘সুস্বাগতম’। শুক্রবারই এটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে।




    সিনেমা ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে এই অভিনেত্রী কথা বলেছেন দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিপুণ বলেন, ‘সুস্বাগতম’ সিনেমার গল্পটা খুব পছন্দ হয়েছিল। কারণ, এ ধরনের গল্প আমাদের চলচ্চিত্রে খুব একটা দেখা যায় না। তাই কাজ করতে রাজি হয়ে যাই। আমাকে এখানে অর্চিতা স্পর্শিয়ার মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে।

    তিনি আরও বলেন, এ ধরনের গল্প মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত। এতে তরুণ-তরুণীরা বড় স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রেরণা পাবে।

    কথোপকথনের এক পর্যায়ে উঠে আসে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি প্রসঙ্গ। তখন অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয় সম্প্রতি এফডিসিতে ব্যানার নিয়ে মিছিল হয়েছে। সেখানে প্রশ্ন তোলা হয়, নিপুণ এত টাকা কোথায় পান?




    জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আগে ঢাকার তাঁতিবাজারের মুকুট জুয়েলার্সে ১৩ লাখ টাকার গয়না বিক্রি করেছি। গয়নাগুলো ছিল আমার খুব শখের। এবার ভাবুন, এফডিসিকে আমি কতটা ভালোবাসি।

    নিপুণ আরো বলেন, একজন মেয়ে প্রয়োজনে তার অন্যান্য প্রিয় জিনিস বিক্রি করলেও গয়না সহজে হাত ছাড়া করে না। কিন্তু আমি সেটি করেছি। কারণ, নির্বাচনে প্রতিদিন আমার কর্মীরা প্রচার-প্রচারণায় খেটেছেন, কাজ করেছেন। পাশাপাশি পোস্টার-ব্যানার করতেও খরচ হয়েছে। এর বাইরে আমি একটি টাকাও কাউকে দেইনি ভোট কেনার জন্য।

    চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে শিল্পী সমিতির সাবেক এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গয়না বিক্রি করেছি কি না, তার সত্যতা যাচাইয়ে তাঁতিবাজারের মুকুট জুয়েলার্সে যান। খোঁজ নেন। প্রমাণ পেয়ে যাবেন। দেশে ফেরার পর আরো অনেক প্রমাণ দেবো। শুধু অপেক্ষায় আছি জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তখন ফিরে থলের বিড়াল বের করে দেবো।




    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৯ এপ্রিল। এতে জয়ী হয় মিশা-ডিপজল প্যানেল। পরে নবনির্বাচিত কমিটিকে ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানান পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। কিন্তু এক মাস না পার হতেই কমিটি বাতিল চেয়ে ১৫ মে হাইকোর্টে রিট করেন এ অভিনেত্রী। তার রিটের প্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। ফলে আপাতত ডিপজল এ পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।




    ২০ মে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তারের অভিযোগ তদন্তেরও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।