প্রতিনিধি ১৮ মে ২০২৪ , ১১:১৪:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ৪৪ বছর আগে বঙ্গবন্ধু তনয়া যে অন্ধকারে নিমজ্জিত বাংলাদেশে ফিরেছিলেন সেই দেশ আজ শত ফুলের প্রষ্ফুটিত আলোয় উদ্ভাসিত। পর পর ১৯ বার নিশ্চিত মৃত্যুকে জয় করে এখন তিনি অকুতোভয় একজন বিশ্ব রাষ্ট্রনায়ক।
তিনি শুধু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের প্রতীক শুধু নন, তিনি বিশ্বের সকল নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের মুক্তির প্রতীক হিসেবে আলো ছড়াচ্ছেন।
শনিবার (১৮ মে) সকালে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে শেখ হাসিনার ৪৪ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনোপলক্ষে মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ঘন তমশায় বাংলাদেশ ডুবে গিয়েছিল। আওয়ামীলীগসহ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ছিন্ন-ভিন্ন করে দেয়া হয়েছিল। বাঙালি নিজ ভূমে পরবাসী হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্য নিয়ে আওয়ামীলীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা ১৯৮১ সালে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে সভাপতির আসনে নির্বাচিত করার মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতির পুনরুত্থানের যাত্রার শুভ সূচনা হয়। তিনি কথা দিয়ে কথা রাখতে জানেন। বিগত ৪৪ বছরে অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে টেনে চলেছেন। একটি গরিব ও ঋণগ্রস্ত দেশকে তিনি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করেছেন। ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বুনন করে চলেছেন। বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে- এটা শুধু স্বপ্ন নয়, সত্যিকার অর্থেই স্বপ্ন ও প্রত্যাশার প্রাপ্তি যোগ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, বাংলাদেশের দুটি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণমণ্ডিত। একটি হল ১৯৭২ এর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং আরেকটি ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। এ দুটি দিনের অপূর্ব মিল রয়েছে। এদের একজন পিতা, আরেকজন কন্যা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় পরিপূর্ণতা পেয়েছিল এবং বাংলাদেশের মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিল। ঠিক একইভাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশ ঘুরে দাঁড়াবার শক্তি অর্জন করেছিল। আজ বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুধু ঘুরেই শুধু দাঁড়ায়নি; সকল অপশক্তি এবং আর্থসামাজিক, বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধনে একটি অবিনাশী শক্তির উৎসে পরিণত হয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, যারা বাংলাদেশ চায়নি এখনো চায়না এবং ভবিষ্যতেও চায়বে না তাদের মুখ্য শক্তি বিএনপি ও তার মিত্ররা মনে করেছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়ে গেলেও সরকার টিকবে না। তাদের সে আশা পূর্ণ হয়নি। নির্বাচিত শেখ হাসিনার সরকার টিকে আছে এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পর্যন্ত টিকে থাকবে। কারণ বিএনপির বিদেশী মুরব্বীরাও বুঝে গেছেন বিএনপি একটি কাগজে বাঘ; হুংকার দিতে জানে শুধু কিন্তু কাজের কাজ তাদের দ্বারা হয়নি, হবেও না।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার হারাবার কিছু নেই। তিনি মা-বাবাসহ স্বজন হারালেও বাংলাদেশের আপামর জনগণ এখন তাঁর আপনস্বজন। এখন তাঁর সামনে আছে সমগ্র পৃথিবী জয় করার প্রত্যয়।
মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদকমন্ডলির সদস্য শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, হাজী রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, থানা আওয়ামীলীগের সিদ্দিক আলম, সাহাবউদ্দিন আহমেদ, কাজী আলতাফ হোসেন, এ.এস.এম ইসলাম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মো. ইকবাল হাসান, প্যানেল মেয়র ও ২৫ নং রামপুর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক আবদুস সবুর লিটন, জানে আলম, ফারুক আহমেদ, জহুরুল আলম জসিম, শেখ সরওয়ার্দী, দিদারুল আলম মাসুম, মো. ইলিয়াছ সরকার, মো. রিদুয়ান প্রমুখ।