• মহানগর

    ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির মতবিনিময়

      প্রতিনিধি ১৪ মে ২০২৪ , ১০:৫৩:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী: রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটি ও চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ মহোদয়ের মধ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবনে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।




    সভায় অতীতের চেয়ে চট্টগ্রামে ওয়াসার পানি সরবরাহের পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ায় রিহ্যাবের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম ওয়াসা কতৃর্পক্ষকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হয়। এ সময় রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেন ওয়াসার সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান কতগুলি সমস্যা ওয়াসা কৃর্তপক্ষের কাছে তুলে ধরেন।

    তিনি বলেন, প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়, মিটার রিডিং অনুয়ায়ী বিল না করে গ্রাহককে অতিরিক্ত বিল প্রদান করা হয়। এই বিল পরিশোধ করা গ্রাহকের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। রিহ্যাব সদস্যদের নির্মাণাধীন প্রকল্পসমূহে গভীর নলকূপের জন্য লাইসেন্স নিতে গেলে নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা প্রদান করতে হয় এবং সময়মত লাইসেন্স পাওয়া যায় না। একই প্রকল্পে গভীর নলকূপের জন্য লাইসেন্স প্রতিবছর অনেক টাকা দিয়ে নবায়ন করতে হয়, যা গ্রাহকের জন্য বোঝাস্বরুপ হয়। আবার কোন প্রকল্পে ওয়াসার বকেয়া বিল পরিশোধের নোটিশ ছাড়াই লাইন বন্ধ করে দিয়ে কর্মচারীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এতে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন হয়।

    সভায় চট্টগ্রামে (স্যুয়োরেজ) পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার জন্য ভূগর্ভস্থ কোন নির্দিষ্ট ব্যবস্থা না থাকার বিষয়ে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে ওয়াসা কৃর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চট্টগ্রামে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার জন্য ভূগর্ভস্থ নর্দমা বা আধার নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়।




    ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ মহোদয় আবাসন সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রিহ্যাবের প্রসংশা করেন।

    এ সময় তিনি বলেন, নির্ধারিত ফি নিয়ে গভীর নলকুপের জন্য লাইসেন্স ৭ দিনের লাইসেন্স দিবেন, ডিমান্ড চার্জ এর বাইরে ১ টাকাও অতিরিক্ত দিতে হবে না, পানির বিল এর অসংগতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে সরাসরি অথবা অনলাইনে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন এবং তাঁর কাছেও অভিযোগ দিতে বলেন। পূর্ব নোটিশ ছাড়া কোন ভাবেই পানির লাইন বন্ধ করা যাবে না।

    তিনি বলেন, কোন কর্মকর্তা— কর্মচারী অতিরিক্ত কোন টাকা চাইলে, পানির লাইন বন্ধ করলে অথবা অযথা হয়রানী করলে আমার কাছে অভিযোগ দেন, আমি অবশ্যই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

    এ সময় তিনি বলেন, ২০২৯ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে (স্যুয়োরেজ) পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার জন্য ভূগর্ভস্থ নর্দমা তৈরি করা হবে। চট্টগ্রামের জন্য ওয়াটার প্ল্যান্ট ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সরকার একটা মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন করেছে এবং এই কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।




    সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব এর পরিচালক ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোরশেদুল হাসান, চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ুম ভূঁইয়া, সৈয়দ ইরফানুল আলম, মিস শারিস্থ বিনতে নূর, নূর উদ্দীন আহমেদ, মাইনুল হাসান, চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক লাল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী জনাব মাকসুদ আলম প্রমুখ।




    0Shares

    আরও খবর 25

    Sponsered content