• জাতীয়

    মু্ক্তির খবরে প্রাণ ফিরেছে নাবিকদের ঘরে

      প্রতিনিধি ১৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১০:৪৬:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী: পাঁচদিন আগে শেষ হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে সেই ঈদের আনন্দ স্পর্শ করেনি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের জিম্মি নাবিকদের ঘরে। জিম্মি হওয়া নাবিকদের পরিবারের দিন কাটছিল অনেক শঙ্কা নিয়ে। তবে নববর্ষের প্রথমদিনে কেটেছে সেই শঙ্কা। ৩২ দিন জিম্মি থাকার পর অবশেষে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজের ২৩ নাবিক। জিম্মি থেকে মুক্ত হওয়ায় এখন ‘ঈদের আনন্দ’ বইছে মুক্ত হওয়ায় নাবিকদের ঘরে ঘরে।




    এমভি আবদুল্লাহর ২৩ জন নাবিকের মধ্যে চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার ছিলেন চারজন নাবিক। মুক্তির খবরে তাদের পরিবারে মাঝে বইছে ঈদের আনন্দ।

    নাবিকরা হলেন—কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আমিন শরীফের ছেলে নূর উদ্দিন (জিএস), আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে মোহাম্মদ সামসুদ্দিন শিমুল (ওয়েলার), একই এলাকার গাজু মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (এবি), মোহাম্মদ আখতারের ছেলে আসিফুর রহমান (এবি)।

    মুঠোফোনে ভিডিও কলে জাহাজটির অয়েলার মোহাম্মদ সামসুদ্দিন শিমুলের সঙ্গে কথা বলছিলেন তার বড়বোনের স্বামী মো. বদরুল হক। তিনি জানান, আগামী ২০ এপ্রিল সকলে দুবাই পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখান থেকে আবারও কোনো জাহাজের মাধ্যমে তাদের চট্টগ্রামে আনা হবে। এতে করে সময় লাগবে আরও ২০-২৫ দিন। সকলে সুস্থ রয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে। ঈদের পরেই যেন আমাদের ঈদ এসেছে। সবাই অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পেয়েছে—এমন খবর শোনার পর ভালো লাগছে। খুবই আন্তরিক ছিলো জাহাজ কর্তৃপক্ষ।




    ভিডিও কলে অয়েলার মোহাম্মদ সামসুদ্দিন শিমুল বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, দীর্ঘ ৩১ দিন পর জলদস্যুদের কাছ থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। যেদিন জলদস্যুদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি, তখন মনে করেছি আর ফিরতে পারবো না। জিম্মি হওয়ার পরে জলদস্যুরা অত্যাচার ও নির্যাতন না করলেও দুশ্চিন্তা হয়েছিল বেশি। আল্লাহর রহমত ও জাহাজ কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টায় মুক্তি পেয়েছি। এখন অপেক্ষা রয়েছি কখন বাড়ি যাব।

    জলদস্যুদের কবল থেকে যারা মুক্ত হলেন—ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ খান, দ্বিতীয় কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, তৃতীয় কর্মকর্তা মো. তারেকুল ইসলাম, চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমদ, এবি মো. আসিফুর রহমান, এবি সাজ্জাদ হোসেন, ওএস আইনুল হক, অয়েলার মোহাম্মদ শামসউদ্দিন, ফায়ারম্যান মোশাররফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম ও জিএস মো. নূর উদ্দিন।




    এর আগে, গতকাল রোববার ভোর রাত ৩টার দিকে জাহাজটি সোমালিয়া থেকে দুবাইয়ের দিকে রওনা হয়। জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পার্সন মিজানুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ দুপুরে মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছিল এমভি আবদুল্লাহ। ওই সময় পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে চট্টগ্রামভিত্তিক কবির স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং মিলের (কেএসআরএম) সহযোগী সংস্থা এসআর শিপিং লাইনসের জাহাজটি।




    আরও খবর 17

    Sponsered content