• মহানগর

    চট্টগ্রাম রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল অফিসে দুদকের হানা

      প্রতিনিধি ২৮ মার্চ ২০২৪ , ১০:৪৭:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী: বিভিন্ন কেনাকাটায় বাজার মূল্য থেকে কয়েকগুণ বেশি দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নগরীর সিআরবিতে অবস্থিত পূর্বাঞ্চল রেলওয়েতে অভিযান চালিয়েছে দুদক।

    এ সময় অভিযোগ সম্পর্কিত ট্র্যাক সাপ্লাই কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং এবং কাটিং জ্যাক ক্রয় সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রাপ্ত তথ্যে উঠে আসে, অত্যন্ত উচ্চ মূল্যে এই পণ্যগুলো ক্রয় করা হয়েছে এবং প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা হওয়া সত্ত্বে ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয় করে উক্ত পণ্য ক্রয় করা হয়েছে।




    যা পিপিপি এবং পিপিআরের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে প্রতীয়মান হয়েছে অভিযান পরিচালনাকারী টিমের কাছে। আজ বৃহস্পতিবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক এনামুল হকের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

    তিনি বলেন, ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশ করে একই ঠিকানায় নিবন্ধিত দুটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দিয়ে তাদের মধ্যে একটিকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয় মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। বাজারমূল্য নির্ধারণ কমিটি কিসের উপর ভিত্তি করে উক্ত পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেছে সে সংক্রান্ত কোন ডকুমন্টস পাওয়া যায়নি।




    এনামুল হক বলেন, বৈদ্যুতিক প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ৯০ টি এলইডি লাইট এবং এলইডি ল্যাম্প কিনার তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলোর ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্টস সংগ্রহ করার জন্য সিওএসের দপ্তরেও গিয়েছি আমরা। সেখান থেকে ডকুমেন্টস সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রতিটি এলইডি লাইট ২৭ হাজার ৭০০ টাকায় ক্রয় করা হয়েছে।

    যা প্রাথমিকভাবে অসংগতিপূর্ণ মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। জানা গেছে, বাজারে এ ধরণের প্রতিটি এলইডি লাইটের সর্বোচ্চ দাম ৫ হাজার টাকা। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে অভিযানের সময় রেলওয়ে পর্বাঞ্চলের জিএম’র সাথে সাক্ষাৎ করে অভিযানের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তাকে প্রথমে অবহিত করা হয় বলেও জানান সহকারী পরিচালক এনামুল হক।




    0Shares

    আরও খবর 25

    Sponsered content