প্রতিনিধি ১৬ নভেম্বর ২০২৩ , ১১:৩৩:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী: বর্তমানে পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রেক্ষিতে জলবদ্ধতা, পয়োনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং অবকাঠামো খাতকে প্রাধান্য দিচ্ছি আমি। যুক্তরাজ্য এ চারটি খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে পারে।যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক সহায়তার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত জ্ঞান আর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমি নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়তে চাই।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুকের (Sarah Cooke) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের বাণিজ্য সম্ভাবনা কাজে লাগাতে লজিস্টিকস সক্ষমতা বাড়াতে অবকাঠামো খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে লন্ডনের টেমস নদীর তলদেশের মতো কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল চালু হয়েছে। পাশাপাশি আড়াই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে পুরো শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে চলছে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। ব্যাপক বিনিয়োগের ফলে চট্টগ্রাম বৈদেশিক বিনিয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাজ্য এই সোনালি সুযোগ কাজে লাগাতে চট্টগ্রামে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে।
এসময় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার বলেন, নগরায়নের যেসব সমস্যা চট্টগ্রাম মোকাবিলা করছে তাতে সহায়তা দিতে ইউএনডিপি যে প্রকল্প নিয়েছে তার অন্যতম প্রধান দাতা যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ করদাতা। চট্টগ্রামে ইউনিলিভারের এক কারখানাই ৯০০ লোকের সরাসরি কর্মসংস্থান এবং আরো প্রায় ২০ হাজার লোকের পরোক্ষ জীবিকার জোগান দিচ্ছে।
আমরা বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আরো কোন কোন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে তা খুঁজছি। যুক্তরাজ্যের অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিশেষ করে চট্টগ্রামে শিল্প কারখানা গড়তে চায়। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আস্থা বাড়াবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) ব্রায়োনি কর (Bryony Corr), বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বিষয়ক পরিচালক ড্যান পাশা (Dan Pasha)।