• কক্সবাজার

    দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

      প্রতিনিধি ১১ নভেম্বর ২০২৩ , ১১:০১:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

    কক্সবাজার প্রতিনিধি: অবশেষে পর্যটকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো আজ। ১৮ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ও কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। আইকনিক স্টেশনের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার।




    কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশন উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারবাসীকে দেওয়া কথা রেখেছেন জানিয়ে বলেন, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। আজকের দিনটি দেশের জনগণের জন্য একটা গর্বের দিন।

    এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম ও বিরল সমুদ্র সৈকত। সাধারণত এই ধরনের সমুদ্র সৈকত এবং বালুকাময় সমুদ্র সৈকত আর নেই। এখানে রেল সংযোগ করতে পেরে আমি আনন্দিত। দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ এই এলাকার মানুষের স্বপ্ন ছিলো, আজ তা পূরণ হলো। এই রেল সংযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরো একটি মাইলফলক স্পর্শ করলো আওয়ামী লীগ সরকার। এতে পর্যটনের শহর কক্সবাজারের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।




    শনিবার (১১ নভেম্বর) কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি উদ্বোধন করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

    সরকারের উন্নয়নে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলি দিতে রাজি নই।

    একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদাররা অগ্নিসংযোগ করে মানুষের ঘড়বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ধ্বংসের ওপর দাঁড়িয়ে দেশ গড়ার কাজে হাত দিয়েছিলেন।




    শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১ টার তিনি এ রেললাইনের উদ্বোধন করেন। এর সকাল বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান শেখ হাসিনা। দুপুর সোয়া ১২টায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শুরু করেন তিনি।

    দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১০ সালের ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।

    মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে টেন্ডার হলে দোহাজারি-চকরিয়া এবং চকরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনসট্রাকশন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পায়। কার্যাদেশ দেওয়ার পর ২০১৮ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সেই হিসেবে অনুমোদানের ১৩ বছর ৪ মাস ৪ দিন পর প্রকল্পটির উদ্বোধন হচ্ছে। এই ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।

    আরও খবর 30

    Sponsered content