• মহানগর

    পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ‘স্মার্ট স্কুল বাস’

      প্রতিনিধি ১৭ অক্টোবর ২০২৩ , ১০:৩৭:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী: জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান দায়িত্ব নিয়েই চট্টগ্রামকে বদলে দিতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে যার সবকটি উদ্যোগই প্রশংসিত হয়েছে।

    ফৌজদারহাটের ১৯৪ একর জায়গায় মাদকের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে করা হয়েছে নান্দনিক ফুলের বাগান। স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পরিবার পরিকল্পনার সমন্বয়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

    স্মার্ট চট্টগ্রাম গড়তে স্মার্ট আইডিয়া অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়। নগরের আউটার স্টেডিয়ামকে করা হয়েছে দখল মুক্ত। গড়ে তোলা হচ্ছে উপযুক্ত খেলার মাঠ হিসেবে। তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলার প্রতি আকৃষ্ট করতে প্রতিনি ইউনিয়নে তৈরি হচ্ছে খেলার মাঠ।




    প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম ‘সমৃদ্ধ নগর, উন্নত গ্রাম প্রযুক্তির ছোয়ায় স্মার্ট চট্টগ্রাম’ স্লোগানকে সামনে নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

    এর ধারাবাহিকতায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম কর্তৃক পরিচালিত দেশের জেলাসমূহের উদ্ভাবনী কার্যক্রম ভিত্তিক প্রতিযোগিতা ‘স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’ এর আওতায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ‘স্মার্ট স্কুল বাস’ নামক উদ্ভাবনী উদ্যোগটি পুরষ্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।




    দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দাখিলকৃত ৮৯টি উদ্ভাবনী প্রস্তাবনার মধ্যে চট্টগ্রামসহ বিজয়ী ৫ জেলা প্রশাসক আগামী ১৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পুরস্কৃত করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসহনীয় যানজট, অভিভাবকদের ভোগান্তি, অধিক যাতায়াত খরচ, জ্বালানি অপচয়, সড়ক দুর্ঘটনা, অনিরাপদ স্কুল যাত্রাসহ অভিভাবকদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ার মতো সমস্যার সমাধান হবে।




    জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ইতোমধ্যে ১০টি সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০টি দোতলা বাস বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। বাসগুলোতে স্মার্ট টেকনোলজি যেমন, জিপিএস ট্র্যাকার, আইপি ক্যামেরা, এআই ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাসে ওঠা-নামার সময় অভিভাবকের ফোনে স্বয়ংক্রিয় এসএমএস প্রদান, বাসে শিক্ষার্থীদের অবস্থান মনিটরিং, স্কুল টাইমিং সমন্বয়ের মাধ্যমে স্বল্প খরচে স্কুল-কলেজ যাত্রা নিশ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের ডেটাবেজ প্রস্তুতের পাশাপাশি বাসগুলোতে জিপিএস ট্র্যাকার, অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা, শিক্ষার্থীদের স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ক্যাশলেস পেমেন্ট পদ্ধতি সম্বলিত বিভিন্ন ডিভাইস সংযোজন করা হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী ক্রমান্বয়ে বাসের সংখ্যাও বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে।




    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কাজ করে চলেছে। সকলের সহযোগিতায় এসব কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব। স্কুল শিক্ষার্থীদের স্মার্ট বাস সার্ভিসের উদ্যোগ নিয়েছি। উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের যাত্রা নিরাপদ করা। অভিভাবকদের ভোগান্তি, যানজট নিরসন এবং দুর্ঘটনা রোধেও ভূমিকা রাখবে এই প্রকল্প।




    0Shares

    আরও খবর 25

    Sponsered content