প্রতিনিধি ৩ অক্টোবর ২০২৩ , ১১:১৮:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী: দরজায় কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। শরতের কাশফুল জানান দিচ্ছে দেবীর আগমনী বার্তা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, সমাজ থেকে সব অন্যায়-অবিচার, গ্লানি ও বৈষম্য দূর করার জন্যই আয়োজন করা হয় শারদীয় দুর্গাপূজার।নগরজুড়ে তাই দেবী বন্দনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। চারিদিকে সাজ সাজ রব।
নগরের সদরঘাট, এনায়েত বাজার, হাজারী লেন, রাজাপুর লেন, চকবাজারসহ বেশ কয়েকটি প্রতিমালয়ে গিয়ে দেখা যায় মৃৎশিল্পীদের এখন দম ফেলার ফুসরত নেই। শৈল্পিক কারুকার্যে অনিন্দ্য সুন্দর প্রতিমার গায়ে এখন পড়ছে রঙের আঁচড়।
নগরের গোয়ালপাড়ার একটি প্রতিমালয়ের মৃৎশিল্পী শুভ পাল জানান, এ বছর তারা ৭০টি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছেন। এর মধ্যে নগরের প্রতিমালয়ে ৫০টি প্রতিমার সেট ও বাকি ২০টি বিভিন্ন উপজেলার পূজামণ্ডপে তৈরি হচ্ছে। সবগুলোর কাজ শেষের পথে, এখন রঙের কাজ শুরু হয়েছে। এরপর শুরু হবে প্রতিমা সাজানো এবং অলংকার স্থাপনের কাজ।
এরই মধ্যে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে শুরু হয়েছে গেট, প্যান্ডেল এবং সাজসজ্জার কাজও। নগরে এইবার ২৯৩টি সার্বজনীন পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। ১৪ অক্টোবর মহালয়ার পরেই আয়োজকরা মণ্ডপে প্রতিমা নেওয়া শুরু করবেন। ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল বলেন, নগরে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আগামী ৮ অক্টোবর সিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক হবে। এবার দুর্গাপূজায় বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি পূজামণ্ডপে আলাদা স্বেচ্ছাসেবক টিমের পাশাপাশি সিসিটিভি ব্যবস্থার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।