• মহানগর

    জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি উন্নয়নে মাঠে নামলো চসিক প্রতিনিধিরা

      প্রতিনিধি ৭ আগস্ট ২০২৩ , ১০:৩২:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী : বর্ষা মৌসুমের প্রথম ভারী বর্ষণ, ভয়াবহ জলাবদ্ধতার চতুর্থ দিনে মাঠে নেমেছে চসিকের একটি প্রতিনিধি দল।

    সোমবার (৭ আগস্ট) জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও দ্রুত বদ্ধ পানি অপসারণের লক্ষ্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।




    বিষয়টি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ। তিনি জানান, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ফুলতলা, বাড়ইপাড়া, এনায়েতবাজার, তিনপোলের মাথা, নিউমার্কেট, স্টেশন রোড, কাপাসগোলাসহ যেসব স্থানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সেসব স্থানে তাৎক্ষণিক সেবক, স্কেভেটর ও লং বুম ব্যবহার করে পানি প্রবাহ সচল করার কাজ শুরু করে প্রতিনিধিদলটি।

    পরিদর্শন সম্পর্কে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মেয়র মহোদয়ের নির্দেশক্রমে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকলে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে মানুষ সরিয়ে দিতে থাকি। এছাড়া পানিবন্দি এলাকাগুলোতে মেয়রের পক্ষে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন কাউন্সিলররা। যেসব সড়ক ভেঙে গেছে সেগুলোও মেরামত এবং যে সব পয়েন্টে পানি আটকে গেছে সেগুলোতে পানি অপসারণের কাজ চলছে।




    ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড এবং ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের লেকসিটি আবাসিক ও ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডের মতি ঝর্না এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা পরিদর্শনের পর পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করায় যে সব পরিবারকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাদের দেখতে আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করে দলটি।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনু, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, চসিক মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম জয় প্রমুখ।

    অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার ও দ্রুত পানি অপসারণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অস্থায়ী বাঁধ তৈরির জন্য চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে নগরের জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছিদ্দীক ও আনোয়ার জাহান। এ সময় তারা দ্রুততম সময়ে সড়ক ও সংস্কার ও যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন।




    আরও খবর 25

    Sponsered content