প্রতিনিধি ৭ আগস্ট ২০২৩ , ৯:৩৮:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ
আবিদুর রহমান বাবুল, চন্দনাইশ প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের চন্দনাইশে পাহাড়ীঢলে সাঙ্গু নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ৫দিনের অবিরাম বর্ষণে এ পানি বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে সাঙ্গু নদীর দু‘কুল উপছে পড়েছে। ফলে পানি নদী পাড়ের শত শত পরিবারের বসতবাড়ীতে ঢুকে পড়ে মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে।
শত শত একর জমির রবি শস্য বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। নদী পাড়ের বহু পরিবার সোমবার রাত থেকে সাঙ্গু নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত আত্মীয় স্বজনের বাড়ী, উচু জায়গাতে পরিবার পরিজন, গরু, ছাগল নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। দোহাজারী পৌরসভার বেগম বাজার, কিল্লাপাড়া, রায়জোয়ারা, দিয়াকুল, চাগাচর, বারুদখানা, উল্লাপাড়া এসব এলাকায় পানি বন্ধি মানুষ পানির কারণে চলাচল করতে পারছেন না।
উপজেলার দোহাজারী, হাশিমপুর, কাঞ্চনাবাদ, বরমা, বৈলতলী, বরকল, জোয়ারা, ধোপাছড়িতে নিচু এলাকায় জলবদ্ধতা ও বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকার যোগাযোগ ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সড়কগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মৎস্য খামারগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে মৎস্য খামারের মালিকগণ লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। বর্তমান দোহাজারী পৌরসভার সাথে ধোপাছড়ি ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এমনকি বাড়ীতে পানি ঢুকে পড়ায় রান্না বান্না করতে না পেরে অনেক পরিবারকে উপোষ কাটাতে হচ্ছে। নদী পাড়ের শশ্মান, কবরস্থান ও মসজিদে পানি ঢুকেছে।
দোহাজারী সদরের জামে মসজিদের নিচ তলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সাঙ্গু নদীর সাতকানিয়া অংশের কালিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব কাটগড়, পশ্চিম কাটগড়, মাইঙ্গ্যাপাড়া, আলমগীর, বাজালিয়া ও পুরানগড় ইউনিয়নের অনেক পরিবার পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে।
দোহাজারী পৌরসভার কৃষক মীরা আহমদ জানান, বন্যার পানি কৃষকদের ব্যপক ক্ষতি করেছে। রবি শস্য এবং আউশ ধানের রোপনকৃত চারা ও বীজ তলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার পানি বন্ধি এলাকার শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধ করণ টেবলেট, স্যালাইন ও চাল বরাদ্ধ করা হয়েছে। যা সোমবার থেকে বিতরণ শুরু হয়েছে।