প্রতিনিধি ১০ জুন ২০২৩ , ১০:১৫:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: শুঁটকি রেঁধে লাখপতি এই স্লোগানকে সামনে রেখে এগ্রোহাট নিবেদিত, শুঁটকিজ আয়োজিত ‘হুনি রাঁধনত গুণী হন’—সিজন-২তে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ফারাহ আকতার। ১ম রানারআপ হয়েছেন রুনি আহমেদ ও ২য় রানারআপ তানভি ফাহিম। ভিউয়ার্স চয়েস ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তানভি ফাহিম।
শুক্রবার (৯ জুন) চট্টগ্রামের ওয়েল এগ্রোতে অনুষ্ঠিত হয় চার মাস আগে শুরু হওয়া এই আয়োজনের ফাইনাল পর্ব। এতে ঢাকা অঞ্চলের পাঁচজন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচজনসহ মোট দশজন ফাইনালিস্ট অংশ নেন। প্রতিযোগিরা হলেন- মো. আবদুল্লাহ ফাহিম, আফসারা সাদি, ফারাহ আক্তার, ফাতেমা আক্তার,সায়মা সিদ্দীকা, মেরিনা সুলতানা, মো. রুহুল আমিন বিশ্বাস, মোহাম্মদ ফয়সাল মির্জা রুনি আহমেদ, সাবিরা নিলা,
প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীরা তাঁদের রান্না করা বিভিন্ন স্বাদের শুটকি আইটেম বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করে। আয়োজক সায়মা সুলতানা, তৌহিদুল ইসলাম, কাজি মো. ইরফানুল মোস্তফা ও মোহাম্মদ জাহেদুল আলম সহ সাতজন মেন্টরের অক্লান্ত পরিশ্রমে আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন শাহিন আফরোজ, জোবাইদা আশরাফ, রওশন আরা বেগম, সাভিনা সিরাজি এনি, নূর আক্তার জাহান, শেফ ইরফান হোসাইন।
উক্ত আয়োজনের পরিচালক ও শুঁটকিজ এর স্বত্বাধিকারী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ ও ক্যামিকেলমুক্ত শুঁটকি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে তোলা। চট্টগ্রামের ঐতিহ্য শুঁটকিকে দেশব্যাপী জনপ্রিয় করে তোলা। শুঁটকি রান্নায় নতুনত্ব আনা। সেরা শুঁটকি রাঁধুনিদের খুঁজে বের করা। দেশের তরুণ নারী উদ্যোক্তা ও প্রতিযোগিতা আয়োজনকারী সায়মা সুলতানা বলেন, ‘হুনি রাঁধনত গুনী হন’ সিজন-২ সফলভাবে সম্পন্ন করতে যারা সহযোগিতা করেছেন সবার কাছে কৃতজ্ঞ। চট্টগ্রাম অঞ্চলের শুঁটকি সারা দেশে সবার প্রিয় খাবার। এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে মূলত মানসম্মত শুঁটকির জনপ্রিয়তা সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে দেশের বাইরেও জনপ্রিয় করা মূল উদ্দেশ্য। এতে আমাদের রপ্তানি আয় বাড়বে, দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি তরান্বিত হবে। আমি আশা করি আগামীতেও এমন আয়োজনে সবার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
প্রোগ্রামের টাইটেল স্পনসর এগ্রোহাট এর সিইও মোস্তফা আকবর চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবার তালিকা করলে শুটকির নাম সবার শীর্ষে থাকবে নিঃসন্দেহে। সেই শুটকি নিয়ে চমকপ্রদ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে “হুনি রাধনত গুণী হন” প্রোগ্রামের আয়োজকবৃন্দ। নিঃসন্দেহে ভাল ও শিক্ষণীয় প্রোগ্রাম ছিল। উক্ত প্রোগ্রামে আমার প্রতিষ্ঠান এ্যাগ্রোহাটকে সাথে নিয়ে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে আনন্দিত এবং আমাকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।ব্যক্তিগতভাবে আয়োজনে আমি ও আমার প্রতিষ্ঠান সন্তুষ্ট। আশা করছি ভবিষ্যতে প্রোগ্রামের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে ও নতুন নতুন রন্ধনশিল্পী আত্মপ্রকাশ করবে উক্ত প্রোগ্রামের মাধ্যমে।
প্রতিযোগিতায় টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ছিলেন এগ্রোহাট বাংলাদেশ, গোল্ড স্পন্সর সায়মা’স ক্রিয়েশন, গিফট স্পন্সর টপার কিচেনওয়্যার, ঘরোয়া, মিনিম্যাক্স ফার্নিচার, এ মাবুদ ট্রেডিং, বেবি বাজার। ফটোগ্রাফি পার্টনার ছিল—ক্যান্ডেল ও ইভেন্ট পাটনার স্বপ্নচূড়া ইভেন্ট।