• মহানগর

    একাত্তরের দুর্ধর্ষ গেরিলা অমল মিত্রের শেষ বিদায়

      প্রতিনিধি ৮ মে ২০২৩ , ১০:০৯:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: একাত্তরের দুর্ধর্ষ গেরিলা অমল মিত্রের শেষ বিদায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দলমত নির্বিশেষে হাজারো রাজনৈতিক নেতা, পেশাজীবী থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয় মরদেহে।




    লাল সবুজের পতাকায় রাষ্ট্রীয় সম্মান ও সিএমপির একটি চৌকস টিম গার্ড অব অনার দেয়। রোববার (৭ মে) রাতে নগরের মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    এতে শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সহ সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মশিউর রহমান চৌধুরী, চন্দন ধর, শফিকুল ইসলাম ফারুক, মহিউদ্দিন বাচ্চু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা পঙ্কজ দস্তিদার, পান্টু লাল সাহা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সেক্রেটারি শরীফ চৌহান, ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাশগুপ্ত, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, হাসান মাহমুদ হাসনী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, পুলক খাস্তগীর, যুবলীগ নেতা নুরুল আজিম রনি, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর প্রমুখ।




    শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের পক্ষে, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ, মহিলা আওয়ামী লীগ, বোধন আবৃত্তি সংসদ, উদীচী চট্টগ্রাম জেলা কমিটি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

    রাতে বলুয়ার দীঘির অভয়মিত্র শ্মশানে শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।




    মেয়র বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম শহরের দুর্ধর্ষ গেরিলা অভিযান পরিচালনাকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মৃত্যুর পরোয়া না করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। প্রশিক্ষিত হানাদার বাহিনীর বিপক্ষে লড়তে তখন আমরা গেরিলা হামলার কৌশল প্রয়োগ করে চট্টগ্রামকে শত্রুমুক্ত করতে একত্রে কাজ করি।

    দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট পরবর্তী কঠিন সময়ে তিনি চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনকে সুসংগঠিত করেন। চট্টগ্রামের মানুষের সুখ-দুঃখে তিনি সবসময় পাশে ছিলেন। দলের চরম দুর্দিনে কর্মীদের তিনি আগলে রেখেছিলেন পরম মমতায়। তিনি দেশ ও জনগণের কল্যাণে আজীবন কাজ করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়। এ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তবে, প্রজন্ম থেকে থেকে প্রজন্মে একজন আদর্শিক নেতা হিসেবে কর্মীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন। তার কর্ম এবং সাংগঠনিক কৌশল আমাদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।




    আরও খবর 25

    Sponsered content