• মহানগর

    আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়ন হলে কমবে নারীর প্রতি সহিংসতা

      প্রতিনিধি ৩ মে ২০২৩ , ৯:৩৫:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী: আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়ন করতে পারলে নারীর প্রতি সহিংসতা কমবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান।

    মঙ্গলবার (২ মে) বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার প্রতি স্বাস্থ্যখাতের প্রতিক্রিয়া’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

    ২ দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বুধবার (৩ মে) ছিল শেষ দিন।




    কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বলেন, যৌন হয়রানি একটি অমার্জনীয় অপরাধ। যৌন হয়রানি ও জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা সমাজের প্রতিটি মানুষের জীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের চরম রূপ। জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশ বহু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শুধু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই প্রতিরোধের আন্দোলন মজবুত করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন কারণে বিশ্বজুড়েই নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবাইকে সহিংসতামুক্ত ও সমতার সমাজ গঠনে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা রোধে স্বেচ্ছায় সকল নারীর প্রতি নারী এবং পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে। কর্মক্ষম নারীকে বেশি করে অর্থনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি নারীর কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়ন করতে পারলে নারীর প্রতি সহিংসতা কমবে।




    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের স্বাস্থ্য ইকোনমিকস ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. এনামুল হকের সভাপতিত্বে এবং জিএনএসপি ইউনিটের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. ফাহমিদা নার্গিসের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রকল্প পরিচালক (অ্যাসেট) আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন, পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক গোলাম মো. আজম, চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি ও চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।




    কর্মশালায় বিশেষ অতিথিরা বলেন, যখন আমরা জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা ও ধর্ষণ প্রতিরোধে কাজ করি, তখন নির্যাতনের শিকার নারীকে আমাদের এমনভাবে প্রাথমিক সেবা দিতে হবে, যাতে সে সমন্বিতভাবে একসঙ্গে মানসিক, চিকিৎসা, শারীরিক, কাউন্সেলিং আইনি সেবা পায়। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে পুরুষালি আচরণ সম্পর্কে যে ভুল ধারণাগুলো পুরুষের মধ্যে বিদ্যমান, নারী-পুরুষের বৈষম্য এবং নারীদের নিচু করে দেখার যে মনোভাব, সেগুলোকে ভাঙতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে।




    0Shares

    আরও খবর 25

    Sponsered content