প্রতিনিধি ১৫ মার্চ ২০২৩ , ১০:৪৪:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ভবন নবান্নের সভাঘরে বুধবার (১৫ মার্চ) শিল্প সংক্রান্ত বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার একেবারে শেষ লগ্নে বড়সড় ঘোষণা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন তিনি জানান, বাংলার পর্যটন বিপণনের জন্য অভিনেতা দেবকে অ্যাম্বাসেডর করার কথা।
পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন বিপণনকে শুরু থেকেই গুরুত্ব দিয়ে আসছে মমতার সরকার। রাজ্যের পর্যটন মুকুটে জুড়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। সম্প্রতি বার্লিনের পর্যটন উৎসব পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে। তারপর থেকেই রাজ্যের পর্যটন বিপণনকে আরও মজবুত করতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিনের শিল্প বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা দেবও। তিনি আবার শাসক দলের মেদিনিপুর জেলার ঘাটালের সংসদ সদস্যও। আলোচনা চলাকালীনই এদিন দেবকে বাংলার পর্যটনের অ্যাম্বাসেডর হওয়ার প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। দেবের উদ্দশে তিনি বলেন, ‘দেব, তুমি বাবা একটু বাংলার অ্যাম্বাসেডর হয়ে যাও না!’ মমতার এই প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান দেব।
যদিও সরকারিভাবে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর শাহরুখ খান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার কিছুদিনের মধ্যেই কিং খানকে বাংলার মুখ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। এদিন দেবকে এই প্রস্তাব দেওয়ায় অনেকে ভেবেছিলেন শাহরুখের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন দেব। কিন্তু তা নয়, এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এমনিতে শাহরুখ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আছেন। কিন্তু শাহরুখ তো খুব ব্যস্ত। তাই তুমি পর্যটনের অ্যাম্বাসেডর হয়ে যাও। ’
এ ব্যাপারে ভিডিও বিজ্ঞাপন বানানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব দিয়েছেন চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষকে। দেবের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘তুমি আরও দু’তিনজনকে নিয়ে নিও। ’
সম্প্রতি দেব-মিঠুন অভিনীত ছবি প্রজাপতি নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সাথে দেবের দ্বন্দ বেঁধেছিল। ছবির বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, দেব বেচারা মুখে বলতে পারছে না। ওর তো মিঠুনদাকে নেওয়াটা একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। দেব বেচারা একটা সুন্দর ছবি করতে গেল, মিঠুনদার ফ্লপ অভিনয়। ওখানে যদি পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতেন ফাটাফাটি হয়ে যেত। ওই জায়গাটা একটু অসুবিধা হচ্ছে। ওকেও মিঠুনদার হয়ে বলতে হচ্ছে।
এর প্রেক্ষিতে প্রযোজক, অভিনেতা দেব বলেছিলেন, কুণালদা কী বলবেন, দল কী বলবে বা বিজেপি কী বলবে তার নিয়ন্ত্রণ আমার হাতে নেই। মিঠুনদা বিজেপি করে আমি তৃণমূল। তবে চরিত্রের প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও মিঠুনদাকে দরকার হলে আবার নেব। রাজনীতি আর অভিনয় আমি একস্থানে রাখি না। কুণালদা রাজনৈতিক মুখপাত্র। আমার মনে হয় সিনেমা নিয়ে ওনার পড়াশোনা নেই। আমি মনে করি সিনেমাটা আমার উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।
ছবি নিয়ে রাজনীতির বিষয়টা দেবের বক্তব্যে ধরা পড়েছিল। এরপরই কিছুটা দলকে এড়িয়ে চলছিলেন দেব। এরই মধ্যে মমতার এমন উপহার জানান দিল দেবের পাশেই আছেন মুখ্যমন্ত্রী।