• মহানগর

    মানবিকতাবোধে পূর্ণ রবীন্দ্র সাহিত্য: এ.টি.এম পেয়ারুল ইসলাম

      প্রতিনিধি ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১০:৪২:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    এস.ডি.জীবন: রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা, সাহিত্য, উপন্যাস ও ছোট গল্পে মানবিক বোধের বিষয়টি উঠে এসেছে। আমাদের তাঁর গানের চর্চার পাশাপাশি মানবিক বোধের চর্চা চালিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.টি.এম পেয়ারুল ইসলাম।



    তিনি বলেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে রবীন্দ্রনাথ পৌঁছে দিয়েছেন বিকাশের চূড়ান্ত সোপানে। উর্বর করেছেন চিত্রকলাকে আধুনিকতার ধারণা দিয়ে। নোবেল পুরস্কারের অর্থ দিয়ে তিনি এ দেশে শাহজাদপুরের দরিদ্র কৃষকদের ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেন কৃষি ব্যাংক। গড়ে তোলেন শান্তিনিকেতন। বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসেন তিনি। পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ব্রিটিশ সরকারের দনাইটহুডদ উপাধি ত্যাগ করেন। এভাবে বার বার সাধারণ মানুষের সঙ্গে একাত্মতার ঘোষণা দিয়েছেন সমাজসচেতন রবীন্দ্রনাথ। তিনি একমাত্র গীতিকবি যার রচিত ভিন্ন ভিন্ন সঙ্গীত ভিন্ন দুটি দেশে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গীত হয়। তাঁর রচিত আমার সোনার বাংলা’ আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। তিনি বলেন, জাতীয় সঙ্গীতের চর্চার মধ্য দিয়ে সকলের মাঝে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে হবে।



    “বঙ্গবন্ধুর অনুঘটকে যে ভাষা আন্দোলন তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে পরেছিল সেই অনুঘটক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ভাষার মাসে নির্বাসিত হয়ে যায় যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে তরুণ প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়ার এখনই সময়। আমাদেরকে তরুণদের চেনাতে হবে বলে বঙ্গবন্ধুর পথ, অবদান ও আদর্শ।”

    তিনি রবীন্দ্র চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেকে বিশ্বমানের মানুষ হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। আজ শুক্রবার বিকেলে অমর একুশে বইমেলা মঞ্চে রবীন্দ্র উৎসবের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।



    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নাজিমুদ্দিন শ্যামলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ রীতা দত্ত ও আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বই মেলা কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। উপস্থিত ছিলে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও সাংবাদিক শুকলাল দাশ।



    প্রধান বক্তার বক্তব্যে অধ্যক্ষ রীতা দত্ত বলেন, আমরা এখনো রবীন্দ্রনাথকে আবিষ্কার করে শেষ করতে পারিনি, তাঁকে গ্রহণ করে শেষ করতে পারিনি। মানুষের উৎকর্ষের যে শিকড়, সেই শিকড় থেকে তিনি কথা বলেছেন। সেখানে পৌঁছাতে কতো সময় লাগবে, আমরা আজও জানি না। এখন রবীন্দ্রচর্চা অনেক কমে গেছে। আমাদের মাঝে লোভ-লালসা অত্যন্ত বেড়ে গেছে। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা সীমিত হয়ে গেছে। আমাদের পথ খুঁজতে হবে কী করে আমরা মানুষ হতে পারি, আমাদের চারপাশের সবাইকে মানুষ করতে পারি। মানুষের ঘরে জন্ম নিলেই মানুষ হওয়া যায় না। মানুষ হতে বহু সাধনা করতে হয়। আমি সবাইকে বলব, আমরা যেন মানুষের কাছে যাই। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করি।



    সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক নাজিমুদ্দিন শ্যামল বলেন, রবীন্দ্রনাথ ছাড়া বাংলা সাহিত্যচর্চা কীভাবে হবে, তা আমার জানা নেই। আমাদের দুঃখ-বেদনা, আশা, যা কিছু প্রকাশ সব জায়গায় আমরা রবীন্দ্রনাথকে খুঁজে পাই। তিনি বলেন, বিশ্বকবি আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাঁর কথা বলে শেষ করা যাবে না। রবীন্দ্রনাথ না পড়লে যেন জীবনটাই বৃথা।



    0Shares

    আরও খবর 25

    Sponsered content