প্রতিনিধি ২০ জানুয়ারি ২০২৩ , ৯:৫৬:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
মো: আব্দুল আল মামুন: আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর (আইআইইউসি) ফ্যাকাল্টি অফ আর্টস এন্ড হিউম্যানিটিস এর উদ্যোগে ২০ জানুয়ারী ২০২৩ “এনভিশনিং দ্য ফিউচারঃ টিচিং ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড লিটারেচার” বিষয়ের উপর দুই দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ২০২৩ এর উদ্বোধন হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স শুরু হয়।
ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইআইইউসির উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মানব সভ্যতার উন্নতির জন্য নতুন চিন্তার উন্মেষ ঘটাতে হবে। এই উন্মেষ ঘটবে ভাষা ও সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভাষা ও সাহিত্য চর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আইআইইউসির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মছরুরুল মওলা তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষাকে সার্বজনীন করার ক্ষেত্রে ভাষা ও সাহিত্য চর্চা অত্যাবশ্যক।
ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন আইআইইউসির ট্রেজারার ও ফ্যাকাল্টি অফ আর্টস এন্ড হিউম্যানিটিস এর ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ভাষা শিক্ষা ও সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে উন্নত জাতি গঠনের আলোকে আইআইইউসি সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম তার কী-নোট বক্তব্যে বলেন, ভাষা এবং সাহিত্য পরস্পরের সম্পূরক। ভাষা এবং সাহিত্য একে অপরকে বিচ্ছিন্ন করে না। তারা সমান্তরালভাবেই চলে। ভাষা শিক্ষা করতে হবে আনন্দঘন পরিবেশের মাধ্যমে। ভাষার উপর সাংস্কৃতিক প্রভাব ও আছে। এটাই হচ্ছে ভাষার বহুমাত্রিকতা। আমাদেরকে ভাষা এবং সাহিত্যের মাঝখানে একটি সমন্বয় সাধনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
ভারতের আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. সানাউল্লাহ আল-নদভী তার কী-নোট বক্তব্যে বলেন, মানব সভ্যতা ভাষা আর সাহিত্যকে পুঁজি করে ইতিবাচক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ভাষা আর সাহিত্যে – ক্লাসিক্যাল, মডার্ন, পোস্ট মডার্ন, ওরিয়েন্টাল, ইসলামিক এবং ইউরোপীয় প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। সমস্ত প্রভাব মানব জাতির সার্বিক কল্যাণকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ফ্যালো মিমি মারসটলার তার কি-নোট বক্তব্যে বলেন, ছাত্রদের নিজ অভিজ্ঞতাকে ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে সংযুক্ত করতে হবে। ছাত্রদের অভিজ্ঞতা কে ভাষা শিক্ষার ধারায় নিয়ে আসতে হবে।
কী-নোট স্পিকার হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ফেলো এ্যালেন স্টুয়ার্ট।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইআইইউসির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. জাহেদ হোসেন সিকদার, আইকিউএসির ডিরেক্টর প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন, রেজিস্ট্রার জনাব এএফএম আক্তারুজ্জামান কায়সার, প্রক্টর মোঃ ইফতেখার উদ্দিন, শরীয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল হক নদভী।
পবিত্র কোরআন তেলওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরু হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইআইইউসির ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড লিটারেচার ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান মোঃ ছরওয়ার আলম ও এরাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড লিটারেচার ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ড. মোঃ মাহমুদুল হাসান। অনু্ষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ইংরেজি বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো. মহিব উল্লাহ।
উক্ত ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক গবেষক তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।