প্রতিনিধি ১২ জানুয়ারি ২০২৩ , ৮:২৬:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ শহীদুল ইসলাম শহীদঃ জেলার রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আরও ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার মুকিল্লা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নিজামুদ্দিন হিরন ওরফে ইউসুফ (৩০), কুমিল্লা জেলার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সালেহ আহমেদ ওরফে সাইহা (২৭), সিলেট জেলার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. সাদিকুর রহমান সুমন ওরফে ফারকুন (৩০), কুমিল্লা জেলার মৃত শফিকুল ইসালামের ছেলে মো. বাইজিদ ইসলাম ওরফে মুয়াজ ওরফে বাইরু (২১) ও মো. মজিবুর রহমানের ছেলে ইমরান বিন রহমান শিথিল ওরফে বিল্লাল (১৭)।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে ইমরান বিন রহমান শিথিল কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ হওয়া ৮জন তরুণের মধ্যে একজন এবং সাদিকুর রহমান সিলেট থেকে নিখোঁজ হওয়া ৪জন তরুণের মধ্যে একজন।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) রাতে এক সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মিডিয়া উইং এর সহকারী পরিচালক খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার যে ৫৫ জন সদস্য পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের কাছে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। তাদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সালেহ আহমেদ ওরফে সাইহা, সাদিকুর রহমান সুমনকে এবং ইমরান বিন রহমান শিথিলকে থানচির দুর্গম এলাকা থেকে, বাইজিদ ওরফে বাইরু, নিজামুদ্দিন হিরনকে রোয়াংছড়ির দুর্গম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার নিজামুদ্দীন হিরণ ২০১৯ সালে ওমান থেকে দেশে ফিরে এসে ব্যবসার সুবাদে জহির নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনে যোগদান করে। ২০২১ সালের সে হিজরতের প্রস্তুতি গ্রহণ করা শুরু করে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে সে সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে গমন করে।
গ্রেপ্তার সালেহ আহমেদ ওরফে সাইহা কুমিল্লার একটি নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতো। পাহাড়ে অবস্থানরত অপর এক জঙ্গি নেতা মো. দিদার হোসেন ওরফে মাসুম ওরফে চম্পাই এর মাধ্যমে সে এই জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭ তারিখে সেসহ আরো ৭ জন সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার জন্য বান্দরবানে অবস্থিত কেএনএফ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে গমন করেন।