প্রতিনিধি ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ , ৮:৩১:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী: প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেনের নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় পুষ্পমাল্য অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শেখ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন প্রফেসর এম. মঈনুল হক, স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর সোহেল এম. শাকুর, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার মনির, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিক, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খান, পাবলিক হেলথ বিভাগের চেয়ারম্যান মো. জাহেদুল ইসলাম, ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার দাশ, প্রক্টর আহমদ রাজীব চৌধুরী এবং ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান কাউছার আলম।
এসময় উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবনের বর্ণনা দিয়ে বলেন, চট্টগ্রামকে তিনি গভীরভাবে ভালোবাসতেন। চট্টগ্রামের উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা ছিল বিরাট।
বিশেষভাবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে তাঁর অবদান বিশাল। তিনি প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ পর্যায়ে প্রায় পঞ্চাশটির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি মেয়র থাকাকালে বিভিন্ন জীর্ণ-শীর্ণ বিদ্যালয়গুলোকে চসিক এর অধীনে নিয়ে সেগুলোর অভূতপূর্ব মানোন্নয়ন করেছিলেন। তিনি স্বাস্থ্যখাতে চসিক এর অধীনে দুটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। অনেক কমিউনিটি ক্লিনিকেরও তিনি প্রতিষ্ঠাতা। তাছাড়া তিনি চট্টগ্রামে উচ্চশিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে একটি ইউনিভার্সিটি-প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। বস্তুত চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও স্বার্থ রক্ষার জন্য তাঁর আপসহীন ও সাহসী ভূমিকা তাঁকে চট্টলবীরে পরিণত করে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী জাতির পিতার আদর্শের রাজনীতিই করে গেছেন।
এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করার আগে নগরীর জিইসি মোড়ে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় খতমে কোরান, মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন ও মাওলানা বোরহান উদ্দিন হোসাইনি।