• বিনোদন

    ‘পাঠান’ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে, নাম বদলের দাবি মুসলিম সংগঠনের

      প্রতিনিধি ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ , ৯:০৫:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    বিনোদন ডেস্ক: শাহরুখ-দীপিকার ‘পাঠান’ ছবি নিয়ে বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না। একের পর এক ধেয়ে আসছে সমালোচনা ও নিষিদ্ধের ডাক। হিন্দু সংগঠনের পর এবার মুসলিম সংগঠনও দিলো ‘পাঠান’ বয়কটের ঘোষণা।



    দীর্ঘ চার বছরের লম্বা বিরতি কাটিয়ে পাঠানের হাত ধরে বলিউডের বিগেস্ট কামব্যাক হতে চলেছে শাহরুখ খানের। সিনেমার টিজার থেকে শাহরুখ, দীপিকা, জন আব্রাহামের লুক প্রকাশ্যে আসার পর ছবি নিয়ে দর্শকের মনে উৎসাহের পারদ ক্রমশ চড়ছিল। কিং খানের রাফ অ্যান্ড টাফ লুক সকলকে চমকে চমকে দিয়েছিল। সেই সঙ্গে হট অ্যান্ড কুল লুকে সকলের নজর কেড়েছিলেন দীপিকা।



    কিন্তু দৃশ্যপটে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে পাঠানের প্রথম গান ‘বেশরম রং’ মুক্তির পরেই। দীপিকার গেরুয়া রংয়ের মনোকিনি আর শাহরুখের সঙ্গে বোল্ড দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য মধ্যপ্রদেশে পাঠানকে বয়কটের দাবি তুলেছে এক হিন্দু সংগঠন। এবার সেই একই দাবিতে সরব রাজ্যেরই মুসলিম সংগঠন। দ্য উলেমা বোর্ড মধ্যপ্রদেশে পাঠান মুক্তির বিরোধিতা করেছে। ওই রাজ্যে কোনোভাবেই ‘পাঠান’ মুক্তি দেওয়া যাবে না বলে সরব হয়েছে মুসলিম সংগঠনটি।



    গত বুধবার হিন্দু সংগঠন পাঠান বয়কটের দাবিতে ইন্দোরে রাস্তার মাঝে শাহরুখ-দীপিকার পোস্টার পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. নরোত্তম মিশ্রের দাবি, পাঠানের ‘বেশরম রং’ গানটি থেকে দীপিকার পোশাকের রং এবং বেশ কয়েকটি দৃশ্যে কাঁচি চালাতে হবে। ছবির নির্মাতারা যদি এই শর্তে রাজি থাকেন তাহলেই ছবি মুক্তি পাবে।



    উলেমা বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আনাস আলি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, ‘এই ছবি মুসলিম ধর্মের ভাবাবেগকে আঘাত করেছে। তাই আমরা কোনোভাবেই এই ছবিকে মুক্তির অনুমতি দিতে পারব না। শুধু মধ্যপ্রদেশই নয়, গোটা দেশেই এই ছবি মুক্তির বিরুদ্ধে। পাঠানদের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিটি মানুষ অত্যন্ত সম্মান করেন। কিন্তু এই ছবিতে যেভাবে পাঠানকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে আর যে ধরনের বোল্ড দৃশ্য রয়েছে তা পাঠানের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করছে।’



    সৈয়দ আনাস আলি আরও বলেন, ‘যদি এই ছবিকে মুক্তি দিতেই হয় তাহলে নাম বদলানো বাধ্যতামূলক। শাহরুখের চরিত্রের নাম পাল্টে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে বাকি যা শর্ত দেওয়া হয়েছে সেগুলোও মানতে হবে। তাহলেই একমাত্র শর্তসাপেক্ষে মুক্তি সম্ভব। যদি নির্দেশ না মানা হয় তাহলে আইনি পথে হাঁটব।’