• কক্সবাজার

    হারবাং বিট কর্মকর্তার সহযোগিতায় অবাধে চলছে কাঠ পাচার: রহস্যজনক ভূমিকায় বন বিভাগ

      প্রতিনিধি ৮ ডিসেম্বর ২০২২ , ২:১৪:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো: আরিফুল ইসলাম। বিশেষ প্রতিনিধি: চকরিয়া উপজেলার উত্তর হারবাং ইউনিয়ন চট্টগ্রাম- কক্সবাজার হাইওয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন পূর্ব পাশে দরহা নামক এলাকায় বন বিভাগের চুনতি রেঞ্জের হারবাং বিট অফিস। আর সেই বিট অফিসের সামনেই চলছে প্রকাশ্যে দিবালোকে কাঠ পাচার। বন বিভাগের রহস্যজনক ভূমিকার জন্য স্থানীয়রা মনে করেছেন তাদের চোখে রয়েছে কালো চশমা। যার কারনে তারা দেখেও না দেখার ভান করে বসে রয়েছেন।

    প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রশাসন ও বন বিভাগের সামনে এধরনের কাঠ পাচার নিয়ে জনমনে প্রশ্ন। দেশে এখন প্রশাসন থাকলেও এসব বন দস্যুদের জন্য কোন আইন প্রয়োগ হচ্ছে না।



    হারবাং সংরক্ষিত বনাঞ্চল ছাড়াও উজাড় হচ্ছে প্রাকৃতিক বন ভূমি। এতে সরকার হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব, উজাড় হচ্ছে বন ভূমি, ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। বড়হাতিয়া,চুনতি,হারবাং বন দস্যুরা এমনই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা প্রকাশ্যে দিবালোকে শত শত জনসাধারনের সামনে রাতদিন সমান তালেই হারবাং বন বিভাগের বিট কার্যালয়ের আশপাশের সড়ক দিয়ে জিপ ও ট্রাক ভর্তি করে কাঠ পাচার করে যাচ্ছে। প্রকাশ্যে কাঠ পাচারকালীন বন বিভাগ ও অন্যান্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিরব দর্শকের ভূমিকায় চেয়ে থাকে।

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন চুনতি রেঞ্জ, হারবাং বিট তারা শুধুই অফিসেই সীমাবদ্ধ।



    স্থানীয়ারা জানান,বন বিভাগের কোন কার্যক্রম চোখে পড়ে না তাদের। ১২ ঘন্টায়ই তালাবদ্ধ থাকে অফিস। বন বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারীরা সারা দিন ও রাতের বেলা বড়হাতিয়া, চুনতি,আজিজ নগর, হারবাং বাজারের সড়ক গুলোতে ঘোরাঘুরি সহ আশপাশের সড়ক গুলিতে ঘোরাঘুরি করে এবং কোন সময় কাঠ পাচারের গাড়ী আসবে সে দিকে লক্ষ্য রেখে কাঠ পাচারকারীদের সাথে আঁতাতের মাধ্যমে টি.বি পারমিট ছাড়াই সরকারের রাজস্ব আদায় না করে শুধু তাদের পকেট রাজস্ব আদায়ের বিনিময়ে কাঠ গুলো ছেড়ে দেয়।

    এছাড়া বন বিভাগের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে পাহাড়ে বন্য প্রানী শিকার অব্যাহত রয়েছে। বনের হরিণ শিকার এখন নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।



    বন দস্যুদের দল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগকে ম্যানেজ করে পাচার করছে জালানী কাঠ গোলকাঠ, টিম্বার, চিরাই কাঠ,লাগড়ী সহ বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ।

    প্রতিদিন বড়হাতিয়া, চুনতি,আজিজ নগর,হারবাং থেকে কম হলেও হাজার ফুট জ্বালানী এবং চিরাই কাঠ সরকারের রাজস্ব ছাড়াই পাচার অব্যাহত রয়েছে।

    কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেটের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় হোমড়া-চোমড়া টাইপের কিছু নেতা। তবে এরা সকলেই নেতাদের নাম বিক্রি করেই চলে।বর্তমানে বড়হতিয়া,চুনতি,আজিজ নগর, হারবাং এর বিভিন্ন স্থানে জ্বালানী কাঠ, রদ্দা, গোলকাঠ ও টিম্বার,লক, বোরকা পাচারের জন্য মওজুদ রয়েছে কয়েক হাজারেরও অধিক ঘনফুট।



    পরিবেশবাদীদের মতে দীর্ঘদিন যাবৎ আজিজ নগর সেনাবাহিনীর অভিযান বন্ধ থাকায় কাঠ পাচারকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

    মওজুদকৃত কাঠের মধ্যে রয়েছে গর্জন, জাম, বাটানা, গামারী, আকাশমনি সহ বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ।



    এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ না পাওয়া বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।



    কাঠ পাচারের বিষয়ে চুনতি রেঞ্জ ও হারবাং বিট দায়িত্বে থাকা জলিলুর রহমানের কাছ জানতে থেকে চাইলে তিনি প্রতিবেদক’কে বলেন, আপনার সাথে তো একবারও দেখা হলো না,আপনি তো অনেক দূরেই থাকেন। আপনি একবার কালকে অফিসে আসবেন কি? চা’য়ের দাওয়াত!

    আরও খবর 30

    Sponsered content