প্রতিনিধি ২২ নভেম্বর ২০২২ , ১০:১০:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফখরুল মিথ্যাচার করছেন; তার মুখে মধু, অন্তরে বিষ। নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু হওয়ায় ফখরুলদের সহ্য হয় না। যদি মিথ্যাচার বন্ধে কোনো আইন করা হতো, তাহলে বিএনপির রাজনীতি বন্ধ হয়ে যেত। তাদের আমলেই জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলা ভাই তাদের আমলেই সৃষ্টি। জঙ্গিবাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা হলো বিএনপি। বিএনপির আন্দোলনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৭ বছর ৮ মাস পর জেলা স্টেডিয়ামে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নাকি বলেছেন দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। প্রধানমন্ত্রী এমন কথা বলেননি, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে তিনি বিশ্ব নেতাদের সর্তক হতে বলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হবে- এমনটা প্রধানমন্ত্রী বলেননি। আমাদের ৩৬ হাজার বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে। ছয় মাসের ব্যবস্থা আছে। একটা দেশ চলার জন্য তিন মাসের রিজার্ভ থাকলেই যথেষ্ট। দেশের মানুষের চিন্তায় প্রধানমন্ত্রীর ঘুম নেই। তার কাছে এ দেশ নিরাপদ, দেশের জনগণ নিরাপদ। তাই শেখ হাসিনা সরকারকে আরেকবার দরকার।
লক্ষ্মীপুরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, লক্ষ্মীপুরে লক্ষ্মী ফিরে এসেছে। এ লক্ষ্মীকে ফিরে যেতে দেবেন না। আগামী নির্বাচনে ৪টি আসনেই নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী মায়া। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের সঞ্চালনায় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, এম এ মমিন পাটওয়ারীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।