• মহানগর

    ১১ কনটেইনার জুস, মাছ, সুপারি, খেজুর মাটিচাপা দিল কাস্টমস

      প্রতিনিধি ১৪ নভেম্বর ২০২২ , ৯:৪৪:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী: বিভিন্ন সময় আমদানির পর খালাস না নেওয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ, ব্যবহার অযোগ্য ও পচে যাওয়া পণ্যভর্তি ৭৩ কনটেইনার খালি করছে কাস্টম হাউস।

    সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে হালিশহর আনন্দবাজারে বড় বড় গর্তে এসব পণ্য ফেলা হয়।



    প্রথম দিন জুস, মাছ, সুপারি, খেজুরের ১১টি কনটেইনার খালি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার সৌমেন চাকমা।

    তিনি জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী গঠিত চট্টগ্রাম বন্দরের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস কমিটির ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭৩ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে। ১৫ লটের এসব কনটেইনারে বন্দরের ভেতরে রেফার্ডসহ ড্রাই কনটেইনার আছে ১৫টি। বিভিন্ন অফডকে ড্রাই পণ্যের কনটেইনার আছে ৬১টি। এসব কনটেইনারে ধ্বংসযোগ্য ও বায়োডিগ্রেডেবল (পচনশীল) আদা, সুপারি, খেজুর, জুস, ক্যারোলা বীজ, মাছের খাদ্য, মাছ ইত্যাদি রয়েছে।



    প্রতিদিন হালিশহর আনন্দবাজারে ১৫-২০টি কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করা হবে। পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত সব কনটেইনার পরিবেশ সম্মত উপায়ে ধ্বংসের পরিকল্পনা রয়েছে কাস্টমসের।

    তিনি আশা করেন ১৬ নভেম্বরের মধ্যে ৭৩ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে ক্রেন, স্কেভেটার, জনবলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।



    সূত্র জানায়, অনেক ব্যবসায়ী পণ্য আমদানির পর বাজার দাম কমে গেলে পণ্য খালাস নেন না বন্দর থেকে। আবার মামলা, শুল্কায়নের হারসহ নানা জটিলতায়ও পণ্য ছাড় বা নিলাম সম্ভব হয় না। এ ধরনের পণ্য বন্দরে বছরের পর বছর পড়ে থাকে। এক্ষেত্রে রেফার্ড (শীততাপ নিয়ন্ত্রিত) কনটেইনারে বন্দরের বিদ্যুতের সংযোগ লাগানো থাকে বছরের পর বছর। তবুও পণ্য পচে যায়, মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে কমিটির মাধ্যমে এসব পণ্য ধ্বংস করে কনটেইনার খালি করে শিপিং এজেন্টকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।



    0Shares

    আরও খবর 25

    Sponsered content