প্রতিনিধি ১২ নভেম্বর ২০২২ , ১০:২৪:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী: ২২ দফা দাবিতে আন্দোলনরত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের এখন মূল দাবি চারুকলাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা।
এ দাবিতে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে ইনস্টিটিউট সংলগ্ন নগরের বাদশা মিয়া সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে দুইদিন সময় নিলেও চারুকলাকে ক্যাম্পাসে স্থানান্তরসহ ২২ দফা দাবির বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না জানিয়ে ইনস্টিটিউট ত্যাগ করেন চারুকলার শিক্ষকরা। জানা গেছে, চারুকলা ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কমিটির সভায়ও শিক্ষকরা চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের বিষয়ে একমত হতে পারেননি। তাই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অবস্থান এখন বিপরীতমুখী।
এদিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দফায় দফায় বসার পর শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাতে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তবে দীর্ঘ আলোচনার পরও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কারণ শিক্ষকরা চান চারুকলার নিজস্ব ক্যাম্পাস। অপরদিকে শিক্ষার্থীরা চান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থানান্তর।
দীর্ঘ সভা শেষে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনার জন্য ১২ সদস্যদের একটি কমিটি গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মামুনকে আহ্বায়ক এবং ঢালি আল মামুন, সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ ইয়াকুব, মরিয়ম লিজা, চারুকলা ইনস্টিটিউট পরিচালক অধ্যাপক প্রণব মিত্র চৌধুরীসহ বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে সদস্য করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আলোচনা করেছেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি একই হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হতো। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের এখন যে দাবি, সেটাও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা চাইলেই রাতারাতি চারুকলাকে ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করতে পারি না। তাই সার্বিক বিষয়ে আলোচনা পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে শিক্ষার্থীদের চারজন প্রতিনিধিও থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি সুন্দর সমাধানের চেষ্টা করছে।
এর আগে ২ নভেম্বর থেকে আবাসিক হল নির্মাণ এবং শ্রেণীকক্ষ সংস্কারসহ ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।