• দক্ষিণ চট্টগ্রাম

    চুনতি বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন

      প্রতিনিধি ৮ নভেম্বর ২০২২ , ১২:৪৫:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    মোঃ আরিফুল ইসলাম। বিশেষ প্রতিনিধিঃ লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফাজাইল্লাহ পাড়া,গুড়া মারা পদুয়া রেঞ্জের ডলু বন বিট ও চুনতি রেঞ্জের সাতগড় বন বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাহাড় ভেঙে পানি জমাট বেঁধে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে হাজার-হাজার ফুট বালু।



    স্থানীয়রা জানান,ডলু বন বিট ও সাতগড় বন বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড় ভেঙে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে পাহাড় গুলোতে থাকা গাছ পড়ে যাচ্ছে- এর ফলে গাছ খেকোরা তা কেটে নিয়ে যায়। এভাবেই চললে অচিরেই চুনতি ইউনিয়নের প্রকৃতি সংরক্ষিত বনাঞ্চল শেষ হয়ে যাবে। বন বিভাগে না থাকবে গাছ, বালু দূরের কথা মাটিও থাকবে না।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, ডলু বন বিটের কর্মকর্তা’কে ম্যানেজ করেই চলছে এসব সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড় ভেঙে বালু উত্তোলন। প্রতি মাসে ডলু বন বিট কর্মকর্তাদের পকেটে পৌঁছে যায় টাকা।চায়ের দোকানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীরা এক-অন্যকে বলতে শুনা যায়, আমরা ডলু বিট কোনভাবে ম্যানেজ করলাম,কিন্তু সাতগড় বন বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করতে পারলাম না। সে আমাদের ডিস্টার্ব করবে।



    সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় অবৈধভাবে হাজার-হাজার ফুট বালু উত্তোলন করে বিশাল পাহাড় গড়ে তুলে রাখা হয়েছে। যা বলতে গেলে এক কথায় বালু’র পাহাড়।পাশ্ববর্তী লোকজন থেকে জানতে চাইলে যে প্রতিদিন কি এভাবে বালু উত্তোলন করে বিশাল পাহাড় গড়ে রাখা হয়।তিনি বলেন প্রতিদিন এভাবে উত্তোলন করা হয় বালু।



    বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যাপারে সরকারের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে এলাকার সচেতন মহল। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে ফসলি জমি ও পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    এবিষয়ে সাতগড় বন বিট অফিসার শাহাআলম হাওলাদার বলেন, আমার এরিয়ায় অবৈধভাবে উত্তোলনকারীদের আমি বেশ কয়েকবার সর্তক করেছি। আমি অতিশীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

    এবিষয়ে ডলু বন বিট অফিসার রাহুল মুনতাসির বলেন, এসব জায়গা আমাদের নয়। এগুলো খাস জায়গা।এরপরও আপনারা বললে, আমরা যাব এর আগেও কয়েকজন সাংবাদিক এসেছিল আমাদের বলেছিল- আমরা গিয়েছিলাম অভিযান পরিচালনা করেছিলাম। জায়গাটি যদি আপনাদের না হয়, তাহলে কেনো আপনারা অন্যের কথায় অভিযান চালাবেন।



    পদুয়া রেঞ্জ অফিসার মো:সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অতিশীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

    চুনতি রেঞ্জ অফিসার শাহিনুর বিপ্লবের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিভাগীয় বন কমকর্তা (ডিএফও) মো:সফিকুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।



    0Shares

    আরও খবর 28

    Sponsered content