• পার্বত্য চট্টগ্রাম

    পার্বত্য অঞ্চ‌লে অর্ধশতাধিক জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে : র‌্যাব

      প্রতিনিধি ২১ অক্টোবর ২০২২ , ৮:৫০:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী ডেস্ক: দেশের ১৯ জেলা থেকে বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হওয়া ৫৫ তরুণ পাহাড়ে আছে। তাদের যতদিন খুঁজে বের করা না যাবে, ততদিন পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।



    যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ সাত জঙ্গি ও তিন কেএনএফ সদস্যকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় শুক্রবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে বান্দরবান র‍্যাব ক্যাম্পে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।

    কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামে নতুন জঙ্গি সংগঠনকে ভারি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। তাদেরকে যতদিন খুঁজে না পাওয়া যাবে, ততদিন অভিযান অব্যাহত থাকবে।



    তিনি বলেন, পার্বত‌্য অঞ্চ‌লের প্রশিক্ষণ শি‌বি‌রে মোট প্রশিক্ষণার্থী ৫০ এর অধিক। জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া সংগঠন‌টির আমির মো. আনিসুর রহমান মাহমুদ নামক ব‌্যক্তি। যার নেতৃ‌ত্বে উগ্রবাদী সংগঠন‌টি প‌রিচা‌লিত হ‌চ্ছে। উগ্রবা‌দী এই সংগঠ‌নে ছয়জন শূরা সদস‌্য র‌য়ে‌ছে। এদের ম‌ধ্যে দাওয়াতি, সামরিক, অর্থ, মি‌ডিয়া ও উপ‌দেষ্টার দা‌য়ি‌ত্বও র‌য়ে‌ছে। তাদেরকে পাহাড়ে বিভিন্ন ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে।



    কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৭ জন ও পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী (কেএনএফ) সংগঠনের তিনজনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা করেছে র‍্যাব। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সরঞ্জাম। তবে এই অভিযা‌নে সন্ত্রসী গ্রু‌পের কেউ হাতাহত বা র‍্যাবের কেউ হতাহত হয়‌নি। যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের ১৯ জেলা থেকে বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হওয়া ৫৫ তরুণদের খুঁজে পাওয়া না যাবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ নির্মূল না হবে ততক্ষণ এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।



    অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হ‌লেন- সৈয়দ মারুফ আহ‌মদ মা‌নিক (৩১), ইমরান হো‌সেন সাওন (৩১), কাওসার শি‌শির (৪৬), জাহাঙ্গীর আহ‌মেন জনু (২৭), মো. ইবরা‌হিম আলী (১৯), আবু বক্কর ছি‌দ্দিক বা‌প্পি (২৩), রুপু মিয়া (২৬), জৌথান স‌্যাং বম (১৯), স্টিফেন বম (১৯) ও মালসম বম (২০)।



    তাদের কাছে থেকে উদ্ধার করা হয় এসবিবিএল বন্দুক ৯টি, এসবিবিএল বন্দুকের গুলি ৫০ রাউন্ড, কার্তুজ কেইস ৬২টি, হাতবোমা ৬টি, কার্তুজ কেইস (এসএ) ১টি, কার্তুজ বেল ২টি, দেশীয় পিস্তল ১টি, ওয়াকিটকি ১টি, ম্যাপ অব কুকি-চিন স্টেট লিখা ১০টি মানচিত্র ও অন্যান্য ব্যবহার্য দেশীয় অস্ত্র সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।



    0Shares

    আরও খবর 29

    Sponsered content