প্রতিনিধি ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৯:৪৩:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী: স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানকে বিতর্কিত করে চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের সুধি সমাজের।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, কমান্ডার আবুল হাশেম বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের পর মূলত মুসলিম ধর্মীয় রীতি মেনে মোনাজাতে শামিল হয়েছিলেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মমিনুর রহমান। মোনাজাত পরিচালনাকারীর বক্তব্যের সঙ্গে জেলা প্রশাসক কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নন।
তিনি বলেন, বর্তমান জেলা প্রশাসক চট্টগ্রামে দায়িত্বপালনকালে চিহ্নিত ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান, জনগণ এবং রাষ্ট্রপক্ষে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করায় নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ গোষ্ঠী জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানকে চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে দিতে চায়। তাঁকে চট্টগ্রাম থেকে বদলি করা হলে চট্টগ্রামবাসীর স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
চট্টগ্রামের সর্বস্তরের সুধি সমাজের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে উত্তর দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল পরবর্তী একটি বিষয়কে পুঁজি করে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বার্থান্বেষী ও সংঘবদ্ধ একটি মহল মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র শুরু করে।
জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানকে সৎ ও চট্টগ্রাম দরদি আখ্যায়িত করে বীর মুক্তিযোদ্ধা, কমান্ডার আবুল হাশেম আরও বলেন, বর্তমান জেলা প্রশাসক চট্টগ্রামে দেড় বছর ধরে দায়িত্ব পালনকালে চিহ্নিত ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান, জনগণ এবং রাষ্ট্রের পক্ষে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করায় নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ গোষ্ঠী মোনাজাত ইস্যুকে সামনে এনে জেলা প্রশাসককে বিতর্কিত করতে চায়।
লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম বলেন, আমরা মনে করি, স্বার্থান্বেষী সব মহলের মিলিত চেষ্টার ফল হচ্ছে- একে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ এবং তাকে বিতর্কিত করে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া। আমরা জানতে পেরেছি, রিটার্নিং কর্মকর্তার পদ থেকে অব্যাহতির পর নতুন করে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছে স্বার্থান্বেষী মহল ও সংঘবদ্ধ চক্রটি। ওই গোষ্ঠী চেষ্টা চালাচ্ছে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশসহ বিভিন্ন ভাবে তাঁকে বিতর্কিত করে চট্টগ্রাম থেকে বদলি করা।
স্বাধীনতা পরবর্তীকালে চট্টগ্রামে দায়িত্বপালনকারী কয়েকজন সৎ, নিষ্ঠাবান এবং নির্লোভ জেলা প্রশাসকের তালিকা করা হলে সেখানে বর্তমান জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের নাম শীর্ষে থাকবে উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম বলেন, বর্তমান জেলা প্রশাসক তাঁর দেড় বছরের দায়িত্ব পালনকালে সততা ও নিষ্ঠা ছাড়াও চট্টগ্রাম, চট্টগ্রামের জনগণ ও সরকারের পক্ষে জনহিতকর অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে ইতিমধ্যে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। ফলে, স্বার্থান্বেষী মহলটি এই ইস্যুতে সফল হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে চট্টগ্রাম, চট্টগ্রামের মানুষ, চট্টগ্রামবাসীর স্বার্থ।
সংবাদ সম্মেলনে ডিসির বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জেলা পরিষদের সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে পুনরায় তাঁকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, আইবিএফবি সভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহ সভাপতি এসএম আবু তৈয়ব, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, সম্পাদক প্রকৌশলী এসএম শহীদ উল আলম, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীর, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, একুশ পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহাব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিস্তি, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জাহেদুর রহমান সোহেল, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার দেব, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি আশীষ কুমার ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন, স্কাউটস চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, ডা. মঈনুল ইসলাম চৌধুরীসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।