প্রতিনিধি ৯ মে ২০২৩ , ১০:০০:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
বিশেষ প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সাইদা আক্তার মিলি (২৭) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (৯ মে) বেলা ১১টা ৭ মিনিটে লামা পৌরসভার মধুঝিরি এলাকা নিজ ঘরের পাটাতনের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
সাইদা আক্তার মিলি লামা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড মধুঝিড়ি এলাকার আবুল কালাম ও রূপনা আক্তারের কন্যা এবং লামা উপজেলার রপসীপাড়া ইউনিয়নের দরদরী পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে কমর্রত ছিলেন। গত দেড় বছর আগে রাঙামাটির ছেলে কায়ছার আহমদের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকে স্বামী কায়ছার আহমদের সাথে নানা বিষয়ে তার মতের অমিল ছিল। সবসময় তার স্বামী তাকে সন্দেহ করত। এইসব নিয়ে প্রায়সময় মানসিক কষ্টে থাকত মিলি। এইসব নিয়ে মায়ের সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। সকালে মিলি’র মা সহকারী শিক্ষক রুপনা আক্তার স্কুলে চলে যায়। বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় নিজ রুমের পাঠাতনের সাথে গলায় ফাসঁ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
নিহতের ছোট ভাই জিসান বলেন, আমি আর আপু বাড়িতে ছিলাম। আমাকে আপু (মিলি) বেলা ১১টার দিকে দোকান থেকে তার জন্য নাস্তা আনতে পাঠায়। আমি নাস্তা আনতে গেলে এই ফাঁকে সে গলায় লাগায়। আমি দোকান থেকে এসে তাকে ঘরের পাটাতনের সাথে ঝুলতে দেখি এবং দ্রুত প্রতিবেশী লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার করে লামা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করি। গতরাতে আপু মানসিক কষ্টে কয়েকটি ঘুমের ঔষধ খেয়েছিল বলে জানতে পারি।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ ২০২৩ইং শুক্রবার লামা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আরেক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সাবরিনা তারান্নুম মেঘলা (২৬) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। দুই মাসের ব্যবধানের আরেক সহকর্মী সাইদা আক্তার মিলি আত্মহত্যার করার বিষয়টি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।
লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মোহাম্মদ রোবিন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। সে আমাদের হাসপাতালের স্টাফ ছিল।
লামা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জুবাইরা বেগম বলেন, মিলি খুবই পরিশ্রমী ও ভদ্র একজন মানুষ ছিল। তার মত মেয়ে এমন কাজ করবে ভাবতে পারিনি।
এ ব্যাপারে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মৃতের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।