প্রতিনিধি ৯ এপ্রিল ২০২৩ , ৩:৪৮:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
বিশেষ প্রতিনিধি.পার্বত্য চট্টগ্রাম: বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার খামাতং খেয়াং পাড়ায় এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে দুইটি গোষ্ঠর মধ্যে গুলাগুলির ঘটনায় নিহত হন আট জন। এর পর, ঐ পাড়া থেকে পালিয়ে যাওয়া বাসিন্দাদের মধ্যে রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৪ টি পরিবার এবং রুমা উপজেলার বম কমিউনিটি সেন্টারে ২০ টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
রুমা উপজেলা উপজেলার কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় গ্রহীতাদের শনিবার (৮ এপ্রিল) সকালে সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো ও তৈরি খাবার এবং চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম। এদিকে, গুলাগুলিতে নিহত ৮ জনের ময়না তদন্ত শনিবার বিকালে বান্দরবান সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। পরে বম সোশ্যাল কাউন্সিলের মাধ্যমে মরদেহগুলো গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়।
রুমা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ শাহরিয়ার মাহমুদ মঞ্জু বলেন, “রুমা সদরের বম কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে ২০টি পরিবার। পরিবারগুলোর মোট সদস্য ৬৪ জন। তার মধ্যে পুরুষ ৩১জন, নারী ৩০জন ও শিশু ৩ জন।” আশ্রিত ২০ পরিবারের মাঝে পরিবার প্রতি ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল ও এক লিটার করে তেল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান পিআইও।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর সন্ত্রাসীদের ভয়ে খামতাং পাড়ার ৬৪ পরিবারের এই পর্যন্ত প্রায় ১৮৬ জন লোক রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, “আশ্রয় নেয়া লোকদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।”
এদিকে, কেএনএফ এঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে রুমা ও থানচি উপজেলার কয়েকটি আভ্যন্তরীণ সড়কে যানবাহন চলাচলে বাধা দিচ্ছে বলে পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছে।