প্রতিনিধি ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ , ৮:৫২:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী ডেস্ক: আগামীকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বসবেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী।
বুধবার প্রকাশিত সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ মামলায় বিচারপতিদের নামের তালিকায় বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নাম রয়েছে। আগামীকাল এ বিষয়ে শুনানি হবে।
প্রধান বিচারপতিসহ ৯ বিচারপতি ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানির বেঞ্চে রয়েছেন। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নামের পরই বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নাম রয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্র জানায়, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। ১৯ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন ছুটি শুরু হবে। ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালন উপলক্ষে আদালতে ছুটি থাকবে। সে হিসেবে আগামীকাল তার শেষ কর্মদিবস। শেষ কর্মদিবসে তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী যদি আগামীকাল আপিল বিভাগে বসেন তাহলে তাকে সংর্বধনা দেওয়া হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী দেশে এসেছেন। তার নাম আগামীকালের আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রয়েছে।
গত ৮ মে বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে ইংল্যান্ড যান আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী।
গত ২৮ মার্চ ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি চেয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। আবেদনে লন্ডনে থাকা বৃদ্ধ মায়ের কাছে ছুটিকালীন সময় কাটানোর কথা উল্লেখ করেন। আবেদনের পর তার ছুটি মঞ্জুর করা হয়।
২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে। এর পরদিন ৩১ ডিসেম্বর থেকে ছুটিতে যান জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। তার সে ছুটি ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু ছুটি শেষ হওয়ার আগেই নতুন ছুটির দরখাস্ত করেন তিনি। এরপর আর তিনি আপিল বিভাগে বসেননি।
গত এক দশকে আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগে সুপারসিডের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ২০১১ সালে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হলে আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি ছুটিতে যান। তারা হলেন, বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন ও বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান।
একইভাবে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ দেওয়া হলে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়া পদত্যাগ করেন।