• মহানগর

    নগরের ৭ থানা-১২ ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি, একাংশের প্রতিবাদ

      প্রতিনিধি ১৫ মার্চ ২০২৪ , ১০:২৫:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী: নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে এক রাতেই ৭ থানা ও ১২টি ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কমিটি গঠনের বিষয়ে জানেন না নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা অনেক নেতাই।

    তারা এ কমিটির সঙ্গে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোনো সম্পর্ক নেই বলে প্রতিবাদও জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকেলের গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি গঠনের প্রতিবাদ জানান চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ১২ নেতা।




    তাদের স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ফেসবুকে প্রচারিত স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের ঘোষিত কমিটি অবৈধ এবং সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নিম্ন স্বাক্ষরিত চট্টগ্রাম মহানগর কার্যকরী কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ গুরুত্বের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি- গতকাল রাত (১৪ মার্চ) আনুমানিক ১টা ৪৫ মিনিটে ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি থেকে প্রচারিত কমিটি ভাইরাল করা হয়েছে। আমরা সুস্পষ্ট ভাষায় কর্মীদের জানাচ্ছি, উক্ত প্রচারিত কমিটির সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ন্যূনতম সম্পর্ক নেই। আমরা কোন অপরাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত কমিটি গঠনই আমাদের লক্ষ্য। যা অচিরেই প্রকাশিত হবে।

    প্রতিবাদ জানানো নেতারা হলেন- নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সুজিত দাশ, দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ, মনোয়ার জাহান মনি, মুহাম্মদ আজিজ মিসির, আব্দুর রশিদ লোকমান, মিনহাজুল আবেদীন সায়েম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সরফরাজ নেওয়াজ চৌধুরী রবিন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুদ খান, মো. সালাউদ্দিন।




    নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন পর কমিটি পেয়েছে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ। ২০ জনের আংশিক কমিটি দেয় কেন্দ্র। নিয়ম-কানুন, গঠনতন্ত্র এসব মিলেই তো একটি সংগঠন চলে। এর একটিরও যদি ব্যত্যয় ঘটে, বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। নতুন যে ৭টি থানা ও ১২টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন হয়েছে, সেগুলো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মনগড়া। এখানে আমাদের কারো কোন মতামত নেওয়া হয়নি। শনিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।

    তবে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর পর নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি হয়েছে। কমিটি গঠনের পরপরই আমরা সম্মেলন করেছি। আমরাই একমাত্র সংগঠন যারা চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নগরের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে সম্মেলন করেছি। জাতীয় নির্বাচনের কারণে কমিটি করতে দেরি হয়েছে। সকলকে নিয়েই কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১১শ নেতা-কর্মীকে পদ-পদবী দেওয়া হয়েছে। এতদিন যারা আমাদের সঙ্গে ছিল, কষ্ট করেছে, তাদের সাংগঠনিক পরিচয় দিতেই আমরা কমিটি দিয়েছি। বাকি ওয়ার্ড ও থানাগুলো পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে।




    তিনি আরও বলেন, যারা এখন বিবৃতি দিচ্ছে তারা সবকিছুতেই বিভাজন খুঁজে। আমরা নগরের ১৫ থানা ও ৪৪টি ওয়ার্ডে সম্মেলন করেছি। এখন যে বিবৃতি দিয়েছে সে মাত্র দুটি সম্মেলনে উপস্থিত ছিল। এখন যখন কমিটি ঘোষণা হয়েছে, দ্বারে দ্বারে দৌড়াচ্ছে।

    বুধবার মধ্যরাতে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ তাদের ফেসবুক একাউন্টে কমিটির তালিকাগুলো প্রকাশ করেন। তালিকা প্রকাশের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় এসব কমিটির তালিকা। ঝড় উঠে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছার।




    ৭টি থানা হলো- চান্দগাঁও, চকবাজার, পতেঙ্গা, সদরঘাট, বন্দর, পাহাড়তলী ও আকবরশাহ।

    এছাড়াও নতুন ১২টি ওয়ার্ড কমিটি হল- ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ড, ১৬ নম্বর চকবাজার, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা, ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা, ২৯ নম্বর পশ্চিম মাদারবাড়ি, ৩০ নম্বর পূর্ব মাদারবাড়ি, ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা, ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর, ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী, ১২ নম্বর সরাইপাড়া, ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ও ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড।

    এর আগে ৩৬ নম্বর মুনির নগর ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করা হয়। এখন পর্যন্ত ৭টি থানা ও ১৩টি ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করেছে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

    আরও খবর 25

    Sponsered content