প্রতিনিধি ২৯ আগস্ট ২০২৩ , ১০:২২:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
মো: শহীদুল ইসলাম শহীদ, বিশেষ প্রতিনিধি: থানচিতে গত আগস্ট ২৯, ২০২৩ বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ বিতরণে এনজিও কর্মীদের স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনা চলছে।
বান্দরবানের থানচিতে এই বর্ষা মৌসুমে চলতি মাসে একটানা অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ও পাহাড় ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে বিএনকেএস এনজিও কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুরে থানচি সদর ইউনিয়নের ২শত পরিবারের মাঝে বন্যায় ও পাহাড় ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি বিএনকেএস এনজিও বাস্তবায়নে, বান্দরবান জেলায় বন্যা ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় জনগোষ্ঠীকে জরুরী মানবিক সাড়াপ্রদান প্রকল্পের মাধ্যমে, স্টারট ফাউন্ড নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ অর্থায়নে একশন এইড সহযোগিতায় নগদ আর্থিক সহায়তা ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
জানা যায়, চলতি মাসে একটানা অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ও পাহাড় ধ্বসে এই উপজেলায় মোট ৮শত ৮৮জন তালিকাভুক্ত ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিএনকেএস এনজিও প্রতি পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তা ৫হাজার ৫শত টাকা ত্রাণ বিতরণ করেছে। কিন্তু প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন লোকজনের নাম বাদ দিয়ে কর্মরত বিএনকেএস এনজিও কর্মীদের খেয়াল খুশি মতো তাদের আত্নীয় স্বজনদের নামের তালিকাভূক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের।
এই নিয়ে থানচি সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে নতুন পাড়া বাসিন্দা মো. নিয়াজু বলেন সাংবাদিকদের বলেন, এমাসের বন্যার পানিতে আমার ঘরবাড়ি সব ডুবে গিয়ে আসবাবপত্র ও খুঁটি পড়ে গিয়ে বাড়ীর নষ্ট হয়ে যায়,পাড়ার অন্যান্যদের সাথে বন্যায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করার সময় আমার নামও অর্ন্তভূক্ত করা হয়। আজকের বিএনকেএস এনজিও যখন বন্যা ক্ষতিগ্রস্থদের টাকা দিল তখন দেখি আমার নাম নেই, তাই আমি কিছুই পায়নি।
অন্যদিকে থানচি সদর ইউনিয়নের ছান্দাক পাড়া বাসিন্দা প্রুচিংঅং মারমা বলেন, চলতি মাসে অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাতের ফলে বিভিন্ন ফলজ বাগানসহ অনেক কিছুই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমার তবুও আমার দুঃখ নেই, যেহেতু প্রকৃতির উপর কারো হাত নেই। কিন্তু আজকের বিএনকেএস এনজিও বন্যা ও পাহাড় ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থদের টাকা যখন দিল, দেখি আসলেই প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা কিছুই পায়নি,বিএনকেএস এনজিও কর্মীদের সাথে সম্পর্ক আছে এমনকি তাদের আত্নীয় স্বজনদের তালিকাভুক্ত করে টাকা দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও সদর ও বলিপাড়া ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগীরা বিএনকেএস এনজিও বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে,তাদের অভিযোগ বন্যায় ও পাহাড় ধ্বসে বেশিরভাগ প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের বাদ দিয়ে বিএনকেএস কর্মীদের পছন্দ করা মানুষের মাঝে ত্রাণ দেয়া হয়েছে।
থানচি সদর ইউনিয়নের ছান্দাক পাড়া কারবারি, সাবেক থানচি সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি উবামং মারমা বলেন, বিএনকেএস এনজিও বিরুদ্ধে তাদের আত্নীয় স্বজনদের তালিকাভুক্ত করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে বলে এলাকার লোকজন আমার কাছে অভিযোগ করেছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, আসলেই প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের বেশিরভাগ মানুষের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।