• জাতীয়

    চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অবরোধ, পুলিশের জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

      প্রতিনিধি ৭ এপ্রিল ২০২৫ , ১১:০২:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী ডেস্ক: চাকরিতে পুনর্বহালসহ দুই দফা দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে যেতে চাওয়া চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। পাশাপাশি সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও জলকামানের পানি নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে।

    সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে দুই দফা দাবিতে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে শিক্ষাভবনের মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    তাদের দুই দফা দাবি হলো- পিলখানার ভেতরে ও বাইরের ইউনিটে মহাপরিচালকের বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্টের অবৈধ রায় বাতিল করে সকল চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অনতিবিলম্বে ‘ক্ষতিপূরণসহ চাকরিতে পুনর্বহাল’ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

    এছাড়াও জামিনের পরও মুক্তি না পাওয়া বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে।

    এই দুই দফা দাবিতে এদিন সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। দুপুর পৌনে ১টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে গেলে শিক্ষা ভবনের মোড়ে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

    এক পর্যায়ে আন্দোলকারীরা সেখানে বসে সড়ক অবরোধ করেন। পরে দুপুর ২টার দিকে তারা আবার পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে। এক পর্যায়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছোড়া হয়। পরে তারা দোয়েল চত্বরের দিকে চলে যান।

    এতে আন্দোলনকারীদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

    তারা বলেন, আমরা বিডিআর সদস্যরা শুধুমাত্র পেশাগত জীবনেই ক্ষতিগ্রস্ত হইনি বরং সামাজিক, পারিবারিক এবং অর্থনৈতিক জীবনেও ভয়াবহ বিপর্যয়ের শিকার হয়েছি। আমাদের পরিবারগুলো মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়। আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। আমাদের পরিবারগুলোর মানসিক শান্তি ও স্থিতি পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছে। এ ঘটনার ফলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যরা এখনও সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়ে যাচ্ছি, যা আমাদের নাগরিক অধিকার, সম্মান ও মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে।

    0Shares

    আরও খবর 17

    Sponsered content