• জাতীয়

    চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ‘শ্লীলতাহানি’র তিন দিন পর মামলা

      প্রতিনিধি ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ১০:১৫:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী ডেস্ক: ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলস’ নামে একটি বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় মির্জাপুর থানায় মামলা হয়েছে।

    ঘটনার তিন দিন পর শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ওমর আলী নামে ওই বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে বাসটিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যদিও ডাকাতির সময় দুই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে সেসময় অভিযোগ ওঠে। তবে ওমর আলীর বর্ণনামতে, শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে।

    বাদী জানান, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছেড়ে আসে। সাড়ে ১২টার দিকে বাসটিতে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কয়েকজনকে রক্তাক্ত করে ডাকাতি শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি করে বাস থামিয়ে ডাকাতদল নেমে যায়।

    ডাকাতরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর চালক বাসটি নিয়ে গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানান। পরে যাত্রীদের চাপের মুখে বাস নিয়ে যাত্রা শুরু করেন চালক। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুযারি) বেলা ১১টার পর যাত্রীরা বাসটি বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যান।

    মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে বাসটি বড়াইগ্রাম থানায় ঢোকানো হয়। এসময় ডাকাতিতে জড়িত সন্দেহে বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও হেলপার মাহবুব আলমকে (২৮) আটক করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। পরে তারা আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পান।

    এ বিষয়ে বুধবার জানাজানি হওয়ার পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। অবশেষে ঘটনার তিনদিন পর মির্জাপুর থানা মামলা নেওয়া হয়।

    বাসটি বড়াইগ্রামে পৌঁছার পর মজনু আকন্দ নামে এক যাত্রী জানিয়েছিলেন, সেদিন রাত ১১টার দিকে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে রাজশাহী যাওয়ার জন্য ছেড়ে যায় বাসটি। কিছুক্ষণ পর আটজন ডাকাত ছুরি এবং পিস্তল নিয়ে বাসের চালকসহ সবাইকে জিম্মি করে। এসময় বাসের ৫০ জন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নেয় এবং দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে।

    পরে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানা এলাকার ফাঁকা স্থানে নেমে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।

    ওই যাত্রী আরও বলেন, বিষয়টি মির্জাপুর থানায় জানানো হলেও তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। পরে যাত্রীদের চাপের মুখে চালক বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় নিতে বাধ্য হন। যাত্রীদের কাছে ডাকাতির বর্ণনা শুনে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ চালক, হেলপার আর সুপারভাইজারকে আটক করে মামলা নেয়।

    0Shares

    আরও খবর 17

    Sponsered content