• মহানগর

    ১৮ বছর পর চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক তাফসির মাহফিল শুরু

      প্রতিনিধি ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ , ১১:৫৪:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী: দীর্ঘ ১৮ বছর পর চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার প্যারেড ময়দানে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করেছে ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ। ৫ দিনব্যাপী এ আয়োজনের প্রধান মুফাচ্ছির হিসেবে মাহফিলের শেষদিন অংশ নেবেন জনপ্রিয় ইসলামী চিন্তাবিদ ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

    জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমিন প্রথমদিন তাফসির পেশ করেন।

    ১৮ বছর আগে এ ঐতিহাসিক এ তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান আকর্ষণ থাকতেন প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী।

    তাঁর উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে পরিণত হতো পুরো প্যারেড ময়দান। বাধা কাটিয়ে ১৮ বছর পর সাঈদীর স্মৃতিবিজড়িত ওই মাঠে শুরু হয়েছে ঐতিহাসিক সেই তাফসির মাহফিল।
    সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যার ৬ টা ১৫ মিনিটে হাফেজ ক্বারী সিরাজ মোস্তাকিমের পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাফসির মাহফিলের অনুষ্ঠানিকতা। পরে হামদে বারিতায়ালা পরিবেশন করেন বাকলিয়া স্কুলের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল কাফি। পরে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহের।

    তিনি বলেন, ১৯৭৬ সাল থেকে প্রস্তুতি নিয়ে ১৯৭৮ সালে এ তাফসিরুর কোরআন মাহফিলের যাত্রা শুরু হয়। নানা বাঁধা বিপত্তি স্বত্তেও আমরা এ মাহফিলের কার্যক্রম চালিয়ে নিয়েছি। ২০০৯ সালে আমরা মাহফিলের আয়োজন করেছিলাম কিন্তু জরুরি অবস্থা জারি করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন পর আজ আমরা মাহফিলের আয়োজন করতে পেরেছি।

    ঐতিহাসিক এই তাফসির মাহফিলের ইতিহাস তুলে ধরে চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘আল্লামা সাঈদী ছিলেন এ মাহফিলের হৃদয়ের স্পন্দন। পাঁচ দিনব্যাপী এ মাহফিলে প্রতিদিন আড়াই ঘণ্টা করে তাফসির করতেন তিনি। চট্টগ্রামের যত কুসংস্কার, বেদাত ছিল সবকিছুর বিরুদ্ধে কোরআন হাদিসের আলোকে বক্তব্য রাখতেন আল্লামা সাঈদী। ’

    শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘জহুর হকার মার্কেটে আমরা যখন তাফসির মাহফিলের পক্ষে মিছিল নিয়ে গেলাম, তৎকালীন এক রাজনৈতিক নেতা আমাদের ওপর আক্রমণ করেছেন। অনেক বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে ১৮ বছর পর আমরা এ মাহফিল করতে পারছি। এখানে কোনো রাজনীতি হবে না। ’

    সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ৩০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে এ মাহফিলে। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের জন্যও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মূল প্যান্ডেলের বাইরে বিভিন্ন স্কুলের মাঠ, কমিউনিটি সেন্টারে পর্দার মাধ্যমে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তাফসির শোনার। ইতোমধ্যে ভারতের কলকাতা, ফেনী, নোয়াখালী, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আল্লামা সাঈদীভক্তরা মাহফিলে অংশ নিবেন।

    0Shares

    আরও খবর 25

    Sponsered content