• মহানগর

    চিন্ময়ের আইনজীবীসহ ৬৩ জনের জামিন

      প্রতিনিধি ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ , ১০:২৩:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী: চট্টগ্রামে আইনজীবী, পুলিশ ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগের পৃথক দুই মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শুভাশিস শর্মাসহ ৬৩ জন আইনজীবীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার আদালত শুনানি শেষে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন।

    জামিন মঞ্জুর হওয়া মামলার আসামিদের অন্যতম চট্টগ্রাম আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও মহানগর পূজা পরিষদের সাবেক সভাপতি চন্দন কুমার তালুকদার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী নিতাই প্রসাদ ঘোষ, মহানগর পূজা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী নিখিল কুমার নাথ, আইনজীবী চন্দন দাশ, রুবেল পাল, সুমন আচার্য ও আশীর্বাদ কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।

    সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট রিয়াদ উদ্দিন বলেন, পুলিশ ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগের পৃথক দুই মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অ্যাডভোকেট শুভাশিস শর্মাসহ ৬৩ জন আইনজীবীর জামিন আবেদন করা হয়।আদালত শুনানি শেষে তাঁদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, আইনজীবীদের জামিন আবেদনের শুনানিকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকে আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

    গত বছরের ২৬ নভেম্বর খুন হওয়া আইনজীবী সাইফুল ইসলামের ভাই জানে আলম বাদী হয়ে ১১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন। এর মধ্যে ৭০ জন আইনজীবী রয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলার আরেক মামলায় কিছু আইনজীবীকে আসামি করা হয়।

    মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হয়। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বাধা দেন তাঁর অনুসারীরা। তাঁরা প্রিজন ভ্যান আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় আসামিরা আইনজীবী, বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা চালান। হামলায় ২০ থেকে ৩০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। একইভাবে পুলিশের করা মামলায় তাঁদের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়।

    আরও খবর 25

    Sponsered content